সহকর্মীর প্রেমে

ভালোবাসা যে কোনো জায়গাতে যে কোনো বয়সেই হতে পারে। স্কুল-কলেজ কিংবা কর্মক্ষেত্রও হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রতি বিশেষ কোনো স্নেহ কিংবা ভালোবাসা অনুভব করলে সেটা দোষের নয়। অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে হয়। এতে আপনি ভালো অনুভব করেন। তখন কাজের ওপর চাপটাও কম মনে হয়। আর সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে অনেক সময় কর্মক্ষেত্রটা একটা ভালো লাগার জায়গায় পরিণত হয়। তবে কর্মক্ষেত্রে রোমান্সে অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে হবে। এর জন্য কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক-

বিবাহিতদের সঙ্গে সম্পর্ক নয়

কর্মক্ষেত্রে যদি বিবাহিত কোনো মানুষের প্রেমে পরেন, তাহলে তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। কারণ এমন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আপনার অন্য সহকর্মীরা কখনই সমর্থন করবে না। এতে আপনাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে এলে নানা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে পারেন। এমনকি আপনি চাকরিও হারাতে পারেন।

বিচক্ষণতা প্রয়োজন

কোনো সহকর্মীর প্রতি আপনি আকর্ষণ বোধ করতেই পারেন। তার মানে এই নয় যে, অন্য সহকর্মীদের আপনি এসব কথা জানাবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার বিচক্ষণতা অনেক বেশি জরুরি। সবসময় মাথায় রাখবেন, কর্মক্ষেত্রে সবাই আপনাকে দেখছে। কাজেই তার সঙ্গে সুযোগ বুঝে তবেই আপনার সময় কাটানো উচিত; যাতে অন্যরা সন্দেহ না করে। আপনি যদি খোলামেলাভাবে কারও সঙ্গে আলাপচারিতায় মশগুল হন তাহলে অন্যরা সহজেই আপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানবে।

কর্মক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নয়

রোমান্টিক সম্পর্কের একটা অংশই হলো শারীরিক সম্পর্ক; কিন্তু অফিসে এই কাজটি কখনই ঠিক নয়। মাথায় রাখবেন, অফিস কোনো মজার জায়গা না। তা না হলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে পারেন এবং আপনার চাকরিও চলে যেতে পারে।

সঙ্গী সম্পর্কে নিশ্চিত হোন

আপনি যদি সত্যিই কোনো সহকর্মীর প্রেমে পরেন এবং তাকে বিষয়টি জানাতে চান, তাহলে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার প্রতি তারও একই অনুভূতি আছে কি-না? আর এটা জানতে তার সঙ্গে ভালো একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলুন। অনেক বেশি সময় তার সঙ্গে কাটালে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আসলে সে কি চায়?

চটকদার সাজ নয়

সাধারণভাবেই একজন মানুষকে দেখতে ভালো লাগে; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মানুষের মন পেতে তার দৃষ্টি আপনার দিকে ফেরাতে কখনই চটকদার সাজে আসবেন না। এতে আপনাকে নিয়ে অন্য সহকর্মীরা সমালোচনা করতে পারে। যার ফল পরবর্তী সময়ে খারাপ বৈকি ভালো হয় না।

ব্যক্তিগত ই-মেইল এড়িয়ে চলুন

সবসময় মনে রাখবেন, কোম্পানি কেবল অফিসের প্রয়োজনে যে কোনো সময়ে আপনাকে ই-মেইলে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। কাজেই এটা ব্যবহার করে ভুল লোককে বার্তা পাঠানো অবশ্যই ঝুঁকির। আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত ই-মেইলগুলো পাঠানো এড়িয়ে চলেন তাহলে কর্মক্ষেত্রে আপনি শুধু সফলই হবেন, সেইসঙ্গে সম্পর্কের গোপনীয়তাও বজায় রাখতে পাবেন।

অফিসের পলিসিগুলো জানুন

যদি আপনি কারও প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন তাহলে আগে পলিসিগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ অনেক অফিস আছে যারা সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি অনেক কারণে সমর্থন করে না।

তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন

সত্যিই সহকর্মীর প্রতি টান অনুভব করলে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে নিন। তারপর যত দ্রুত সম্ভব বিয়ের কাজটা সেরে নিন। বিয়ে আপনাকে অন্যের সমালোচনা থেকেই শুধু বাঁচাবে না, একইসঙ্গে আপনার চাকরিটাও ধরে রাখবে।

সঙ্গী কেবল আপনাকেই ভালোবাসে

আপনি যাকে পছন্দ করেন তার জীবনে আরও কেউ থাকতে পারে। কাজেই সম্পর্কে জড়ানোর আগে সে বিষয়টা আরও একবার নিশ্চিত হয়ে নিন। এতে ভবিষ্যতে বিপদের হাত থেকে বাঁচবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //