আজকাল প্রায় সব অফিসেই এসি ব্যবহার করা হয়। টানা কয়েক ঘণ্টা এসিতে থাকার পর বাসায় ফিরে অনেকেরই আর ফ্যানের বাতাস সহ্য হয় না। এ কারণে অনেকে বাড়িতেও এসি ব্যবহার করছেন। এই অভ্যাসে গরম থেকে মুক্তি পেলেও শারীরিক ক্ষতি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না মোটেও। একটানা এসির মধ্যে থাকলে ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
দীর্ঘ সময় এসির ঠান্ডা বাতাসে থাকলে ত্বকের আবরণের নিচের পানি শুকিয়ে যায়। এর ফলে চুলকানি হওয়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে দ্রুত ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
এসিতে ত্বকের সুরক্ষায় কী করবেন জেনে নিন-
- যদি অফিসে এসি থাকে তাহলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ঢোকার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন এবং সাথে রেখেও দিন। ময়েশ্চারাইজার হিসাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ভারী কোনো লোশন বা ক্রিমও মাখতে পারেন।
- এসিতে থাকলে ত্বকের যত্ন নিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা দরকার সুস্থ থাকতে।
- একটানা দীর্ঘক্ষণ এসির বাতাসে না থেকে মাঝেমাঝেই বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ঘুরে আসুন।
- ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিনও। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে গ্লিসারিন দারুণ কার্যকর।
- শুধু ত্বক নয়, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাস ঠোঁটও রুক্ষ করে তোলে। তাই ঠোঁটের কোমলতা ও মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি। চাইলে লিপগ্লসও লাগিয়ে রাখতে পারেন।
- ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে দুধের সরের সাথে গোলাপের পাঁপড়ি বাটা মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁটের কালো দাগ কমে যায়। ঠোঁট হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ।