কখনো কখনো মুখের মধ্যে সবথেকে বেশি জীবাণু টুথব্রাশ থেকেই প্রবেশ করে থাকে। কারণ এই টুথব্রাশেই লেগে আছে দাঁত ও মাড়ির জীবাণু। মাড়ির সমস্যায় আক্রান্ত একজন মানুষের মুখের ভেতরের জীবাণু তার ব্রাশের মধ্যে প্রায় সাত দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
মুখের ভেতরে যদি কোনো কারণে মাড়িতে আঘাত লাগে, ক্ষত সৃষ্টি হয় অথবা ঘা থাকে, তবে সেখানকার ব্যাকটেরিয়া থেকে মাড়ির প্রদাহ হতে পারে। আবার দাঁতের ব্রাশগুলো জীবাণুমুক্ত প্যাকেটে বিক্রি হয় না, সেখান থেকেও ব্রাশে ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকতে পারে। এইসব কারণে দাঁত ও মাড়ির যত্ন রাখতে হলে, পরিচ্ছন্ন টুথব্রাশ রাখা একান্ত জরুরি।
একনজরে দেখা যাক কোন কোন উপায়ে টুথব্রাশ পরিষ্কার রাখা যায়:
¾ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি তিন থেকে চার মাস অন্তর নতুন ব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। খেয়াল রাখা দরকার ব্রাশের অগ্রভাগ যেন ঠিক থাকে। কারণ এটি বাঁকা হয়ে গেলে ঠিকভাবে কাজ করে না।
¾ দাঁত ব্রাশের পর ব্রাশটিকে আপনি কলের নিচে অনেকক্ষণ ধরে এর ভেতরের লেগে থাকা ময়লা (খাদ্যবস্তু ও ব্যাকটেরিয়া) ধুয়ে পরিষ্কার করুন। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগ থাকলে ব্রাশটিকে জীবাণুনাশক তরল পদার্থে ডুবিয়ে রাখুন ও তারপর ধুয়ে ফেলুন। বাজারে টুথব্রাশ জীবাণুমুক্ত করার জন্য নানা ধরনের উপকরণ আছে। সেগুলো সংগ্রহ করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
¾ দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা খাদ্যবস্তু বা ব্যাকটেরিয়া খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয় ইলেকট্রিক ব্রাশের সাহায্যে। এই ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা দাঁত ও মাড়ির পক্ষে খুব স্বাস্থ্যকর।
¾ প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার পর টুথব্রাশটি আবার একই কেবিনেটের মধ্যে অথবা বাথরুমের কাপ বোর্ড বা ড্রয়ারের মধ্যে রাখবেন না। ব্রাশটি ওপরের দিকে সোজা করে একটি কাপড়ের মধ্যে রাখুন, যাতে এর ভেজা অংশটি (সুতার মতো নাইলনের অংশটি) শুকিয়ে যেতে পারে। কারণ, ভেজা অবস্থায় জীবাণু বেঁচে থাকে দীর্ঘদিন। সেই জীবাণু আবার আপনার মুখের ভেতরে ব্রাশের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে।
© 2022 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh