দুশ্চিন্তা কমাতে যেসব খাবার খাবেন

দুশ্চিন্তা একটি মানুষকে ভিতর থেকে ভেঙে দিতে পারে। দেখা দিতে পারে মানসিক অবস্থার অবনতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুশ্চিন্তাকে এখন একটি রোগ হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত।

আমরা সারাদিনে যা খাই তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই খেতে হবে বুঝেশুনে। দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য মুঠো মুঠো ওষুধ বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বদলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর ও সহায়ক খাবার। তবে দুশ্চিন্তার মাত্রা অতিরিক্ত হলে নিতে হবে সঠিক চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। ভারতের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞ উমা নাইডু তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করেছেন দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে এমন ১০ খাবারের কথা।

দুশ্চিন্তা হলে নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন। কাজু বাদামে আছে উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম উপদান, যা প্রশান্তিতে সহায়তা করতে পারে।

দুশ্চিন্তা কমাতে বেরি খেতে পারেন। বেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীর এবং মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে পারে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দুশ্চিন্তাকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ব্রাসেলস স্প্রাউট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে কাজে বাধা দেয়। এই গ্রন্থি স্ট্রেস হরমোন তৈরি করে। তাই দুশ্চিন্তা কমাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

স্যামন ফিশে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি দুশ্চিন্তার বিভিন্ন লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।

হলুদে আছে কারকিউমিন। যা দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদান দুশ্চিন্তা কমাতে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

আচারের প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। ফলে মেজাজও থাকে ভালো। তাই আচার খাওয়া জরুরি।

অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং বি ভিটামিন থাকে যা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ডার্ক চকোলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডের মন ভালো করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

দুশ্চিন্তা কমাতে গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি-তে থাকে এল-থেনাইন নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা ঘুমের উন্নতি করতে পারে। 

ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সব খাবার শরীরে শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে। দুশ্চিন্তা এড়াতে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।