গ্রীষ্মকালীন অন্যান্য ফলগুলোর মধ্যে জাম জনপ্রিয় ফল। তবে অন্যান্য মৌসুমি ফলের তুলনায় জামের স্থায়ীকাল কম। ফলটি স্বাদে কোনটি মিষ্টি, আবার কোনটি টক-মিষ্টি। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান যা দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
জাম খেলে শরীরের যেসব উপকার মেলে:
- গরমে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়াও সানবার্ন বা ট্যানের সমস্যাও দেখা দেয়। গরমের দিনে ত্বকের এই জাতীয় একাধিক সমস্যার সমাধানে কাজে লাগে জাম। এই ফলে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। তার ফলে ব্রণের মতো সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়াও ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব, লালচে দাগছোপ, র্যাশ এইসব সমস্যাও দূর করে রসালো এই ফল।
- ব্লাড পিউরিফায়ার করার কাজ করে এ ফল। এছাড়া যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, তাদের জন্য জাম খাওয়া খুবই উপকারী। কেননা এই ফলে থাকা ভিটামিন সি হিমোগ্লোবিনের কাউন্ট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এই ফল।
- জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। তাই এই ফল হার্টের জন্য খুবই ভালো এবং উপকারী। এ ছাড়াও এই ফলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপকরণ যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে, ধমনীগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, যে কোনও ধরনের কার্ডিওভাসকুলার অসুখ আপনাকে দূরে রাখে।
- জামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। এই দুই ভিটামিন বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। আর একই সঙ্গে বাড়ে হজমশক্তি। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে এই ফল।
- জামে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলস, ভিটামিন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপকরণ যা জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া জনিত অসুখ থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
- জাম ফলের সাহায্যে ওজনও কমানো যায়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফলে এই ফল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি এই ফল রসালো হওয়ার ফলে শরীর হাইড্রেটেড রাখে, যা গরমের দিনে খুবই দরকার। শরীর থেকে সমস্ত দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে আনে এই ফলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ।