জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, বেগম রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধী দলের নেতা এবং কাউন্সিল পর্যন্ত জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। পার্টির নেতৃত্বে কোনো বিভাজন নেই। একটা বড় ধরনের ভাঙন থেকে জাপা রক্ষা পেয়েছে।
এছাড়া দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বসে রংপুর-৩ আসনে প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান রাঙ্গা।
রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ রবিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রাঙ্গা বলেন, বলেন, ‘প্রথমে আমাদের যে বিষয়টি ছিল, সেটি হল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কে পালন করবেন। এটা নিয়ে একটি বিতর্ক ছিল। সেটি কাল সমাধান হয়ে গেছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যন এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্দেশিত যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ানম্যান… জিএম কাদের সাহেব আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত দলের দায়িত্ব পালন করবেন চেয়ারম্যান হিসেবে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ, যিনি আমাদের চেয়ারম্যানের পত্নী, তিনি সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।’
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি দলেই কিছু মানুষ থাকে, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তারা পার্টির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। প্রতিটি পরিবারেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়, আবার সবাই মিলে তা সমাধানও করা হয়। জাতীয় পার্টিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। পার্টির নেতৃত্বে কোনো বিভাজন নেই।
চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
রাঙ্গাঁ বলেন, ‘আরেকটি বিষয এসেছিল, রংপুরের উপ নির্বাচন নিয়ে। সেখানে সাদ এরশাদের (এরশাদের ছেলে) পক্ষে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, বিপক্ষেও কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মহাসচিব ও চেয়ারম্যান বসে রংপুরের বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন- প্রার্থী কে হবে। আজ বা কালকের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। তখন জানতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, এস.এম. ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা উভয়পক্ষে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।
বৈঠকে রওশন পন্থীনেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম ও এস এম ফয়সল চিশতী। আর জিএম কাদেরপন্থী নেতাদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়্যদ আবু হোসেন বাবলা ও লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh