ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ১২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০, ১২:২০ পিএম
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ১২:০৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০, ১২:২০ পিএম
গত বছর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার। এইটা সরকারি হিসাব।
এর বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে কতো টাকা এসেছে বা আসে তার কোন আনুমানিক হিসাব কেউ জানে না। আমরা সবসময় ম্যাক্রো লেভেলের ঐ সব বিলিয়ন ডলারের খবর রাখি, তা নিয়ে কথা বলি।
মাইক্রো লেভেলে হুন্ডির পপুলারিটি নিয়ে আমার তেমন কোন ধারণাই ছিল না এতোকাল। গত সপ্তাহে ব্যাংকক এয়ার পোর্টে বসে সৌদিতে চাকরি করেন এমন একজনের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়।
তাকে বলছিলাম, আপনাদেরতো এখন বিরাট সুবিধা করে দিয়েছে সরকার। ১০০ টাকা পাঠালে দেশে ১০২ টাকা পাচ্ছেন এখন ! বলল, ওতে আমাদের মতো ছোট কর্মচারির খুব বেশি লাভ হয় না। কেন? জানতে চাইলাম। উল্লেখ্য যে, ভদ্রলোক ফরমাল চ্যানেলে টাকা পাঠান না।
দেখুন, দেশে ১ লাখ টাকা পাঠালে ওখানকার ব্যাংকে আমার ৫০০০ রিয়েল জমা দিতে হয়। বলললাম, হুন্ডি ব্যবসায়ীকেওতো ৫০০০ দিতে হয়, তাহলে তফাৎ কী? বলল, নাহ্ ... তাকে একসাথে ৫০০০ না দিয়েও পারি। আজ হয়তো ৩ হাজার দিলাম, বললাম, যে আগামী সপ্তাহে আরো ২০০০ দিয়ে দেব, তুমি বাড়িতে ১ লাখ পাঠিয়ে দাও। যেহেতু হুন্ডির ঐ এজেন্ট আমাদেরকে ভালোভাবে চেনে, তাই সে বিশ্বাস করে বাড়িতে ১ লাখ পাঠিয়ে দেয়। বাকি টাকা আমি পরের সপ্তাহে তাকে দিয়ে দেই। এমনও হয় যে, হাতে টাকা নেই, অথচ বাড়িতে কারো চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা পাঠাতে হবে- কোন চিন্তা করি না। ঐ লোককে বলে দিলেই সে টাকা পাঠিয়ে দেয়, আমি বেতন পেলে টাকাটা তাকে দিয়ে দেই। সবাইতো চেনা-জানা লোক, কোন অসুবিধা হয় না। এ নিয়ে টুকটাক ঝামেলাও হয় মাঝে মধ্যে, তবে তা আবার মিটেও যায়।
বুঝলাম, স্বল্প আয়ের প্রবাসীরা এই ব্যবস্থাটাকে বেশ গ্রহণ করে নিয়েছে। এই ইনফরমাল সিস্টেমে সে যে বাড়তি সুবিধাটুকু পাচ্ছে, ফরমাল সিস্টেমে তা অনুপস্থিত।
লেখাটি মনোয়ার মোস্তফার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh