চলতি বছর ৫০ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে: আরএসএফ

চলতি বছর সারাবিশ্বে ৫০ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।  গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস (আরএসএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত সংস্থাটি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, যেসব দেশে এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে এর বেশিরভাগ দেশেই যুদ্ধ চলছিল না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানী সাংবাদিক, দুর্নীতি ও পরিবেশ ক্ষেত্রে কাজ করা সাংবাদিকদেরই বেশি হত্যা করা হয়েছে। এ বছর ৮৪ শতাংশ সাংবাদিককে সরাসরি তাদের কাজের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ও হত্যা করা হয়েছে। আর ২০১৯ সালে ৬৩ শতাংশকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

এদের মধ্যে মেক্সিকোতে আটজন, ভারতে চারজন, ফিলিপাইনে তিনজন ও হন্ডুরাসে তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে।  

আরএসএফ বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে পাঁচ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে আলোচনা চললেও গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমকর্মীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

ভারতে ‘রাষ্ট্রীয় স্বরূপ’ পত্রিকার প্রতিবেদক রাকেশ ‘নির্ভীক’ সিংকে ডিসেম্বর মাসে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যে টিভি সাংবাদিক ইসরাভেল মোজেসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের সহিংসতার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে আরএসএফ। 

সংস্থাটির এডিটর ইন চিফ অ্যাডেস মেভেল বলেন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঘটনা কাভার করেন এমন গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি সহিংসতা বেশি ঘটেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যা ও ফ্রান্সে বিতর্কিত নতুন নিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ করেছেন। 

আরএসএফ বলছে, ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর কিছু কম সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারির কারণে এ বছর কমসংখ্যক সাংবাদিক মাঠে কাজ করেছেন। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয়েছে। এ বছর ৩৮৭ জন সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই হার অনেক বেশি। 

করোনার সংকটময় পরিস্থিতির খবর সংগ্রহ করায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চীনের কথা উল্লেখ করেছে আরএসএফ। চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা সাংবাদিক ঝ্যাং ঝানকে (৩৭) গতকাল সোমবার চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে গত মে মাসে গ্রেফতার করা হয় তাকে। -এএফপি  

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //