আবার সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ কাদের মির্জা অনুসারীর বিরুদ্ধে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ ওরফে হামিদের (২৮) নেতৃত্বে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল রবিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ভবনের দক্ষিণ গেটে মোশারফ হোসেন ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

পরে স্থানীয় কয়েকজন আহত অবস্থায় নাসির উদ্দিন (৪৩) নামের ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এখন তিনি নিজ বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন ও আঞ্চলিক দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি।

এ বিষয়ে সাংবাদিক নাসির জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে বসুরহাট পৌরসভার দক্ষিণ গেটের মোশারফ হোসেন ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে একটি চা দোকানে আমি বসেছিলাম। এসময় দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন যুবলীগ নেতা হামিদ। ওই সময় তিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন- আমি তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কি লিখেছি। তখন আমি তাকে বললাম কি লিখেছি বল? তিনি বলেন- তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কয়েকদিন আগে হ্যাক করে লেখা হয়, রাজনীতি থেকে বিদায় নিলাম, সবাই আমাকে ক্ষমা করবেন। আপনি ওই স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্টস করেন, কিগো আর রাজনীতি করবা না, অনেক করেছ। ফেসবুক কমেন্টস নিয়ে বাকবিতণ্ডর একপর্যায়ে হামিদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আমার ওপর হামলা চালায়। 

তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জে কারও ওপর হামলা চালাতে সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ লাগে না। এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও তার ছেলে আমাকে বিচারের আশ্বাস দিয়েছে। 

তবে এ ঘটনায় তিনি থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চা দোকানে বসে ছিল সাংবাদিক নাসির। বসে থাকা অবস্থায় কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর ও তার ঘোষিত পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ ওরফে হামিদের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা রিকশার চেইন, ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে তাকে মাথায়, পায়ে, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে জখম করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার সাথে সাংবাদিকদের সম্পর্ক ভালো।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে ব্যস্ত পাওয়া যায়। পরে অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //