গণমাধ্যমে কীভাবে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

‘গণমাধ্যম মানুষের মনন তৈরি করে’ -মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সে জন্য গণমাধ্যমে কীভাবে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারও উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিরোধীদলের কথা শুনলে তা মনে হয় না। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ওই পাড়ে গিয়ে তারা বলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেই বক্তব্যগুলো আবার সব টেলিভিশনে ভালোভাবে প্রচার হয়। 

তিনি বলেন, সবার বক্তব্যই প্রচার হতে পারে, কিন্তু সত্যি ঘটনাটাও প্রচার হতে হবে, তাহলে মানুষ সঠিক উপসংহারে উপনীত হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তার হাত দিয়ে প্রথমে ইটিভি তারপর এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই’র যাত্রা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত আমার জানামতে ৩৬টি প্রাইভেট টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আর কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে।

তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে গত ১৪ বছরে বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সবকিছুর এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ হয়েছে। মেধাবীরা কাজের সুযোগ পেয়েছেন। প্রাইভেট টেলিভিশন দশটি থেকে ৩৬টি, দৈনিক কাগজের সংখ্যা সাড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ১২০০; হাতেগোনা কয়েকটি থেকে অনলাইন পোর্টাল কত হাজার সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম মানুষের মনন তৈরি করে; মানুষের কাছে সমাজের বিশ্বের চিত্র পরিস্ফুটন করে এবং তা থেকে মানুষ তার ধারণাটা তার নিজের কল্পে সংগ্রহ করে। সে জন্য গণমাধ্যমে কীভাবে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে টেলিভিশনের দায়িত্ব আমাদের সংস্কৃতিচর্চা ও সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচন করা।

তিনি বলেন, সমাজ যে দিকে তাকায় না রিপোর্টের মাধ্যমে সেগুলোকে তুলে আনা, যাতে সমাজ ও সরকার সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অর্থাৎ মানুষের মনন, দেশ, সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় টিভি চ্যানেলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বজুড়ে মন্দা, যুদ্ধ ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেখেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা শুধু সচল আছে তা নয়, আমাদের জিডিপিও বাড়ছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৭৬ কি ৮০ বিলিয়ন ডলার এখন তা পাঁচ গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, এখন ২ হাজার ৮৮৪ ডলার, যেটি ভারতকে ছাড়িয়েছে। আর সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়নসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে আমরা ৭-৮ বছর আগে ছাড়িয়েছি। বিশ্বের পত্রপত্রিকা-গণমাধ্যমে আমাদের প্রশংসা হচ্ছে, দেশে সব গণমাধ্যমে তেমনটি নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ পরিচালনায় সাফল্যের পাশাপাশি কিছু ভুলত্রুটি থাকে কারণ কোনো সরকার পৃথিবীতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারে না। অতীতেও পারে নাই, এখনও পারবে না, ভবিষ্যতেও না। সে কারণেই শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যটাও তুলে ধরতে হয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //