যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয়: নেতানিয়াহু

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি প্রত্যাখান করে বলেন, যুদ্ধবিরতির অর্থ ইসরায়েল সন্ত্রাসের কাছে আত্মসমর্পণ করল। আর এটা হতে দেয়া হবে না। 

নেতানিয়াহু বলেন, পার্ল হার্বার ও ৯/১১ হামলার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু যুদ্ধবিরতিতে যায়নি। আমরাও অনুরূপ ৭ অক্টোবর হামাসের ভয়াবহ হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি নই। 

সংবাদ সম্মেলনে ক্রোধের সঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা সভ্যতা ও বর্বতার মধ্যে একটি রেখা এঁকেছি। এ সময় তিনি ইসরায়েলের জোটদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের শত্রুপক্ষ হামাস ও ইরান যদি জয়ী হয়, তবে জেনে রাখবেন আপনারাও তাদের পরবর্তী হামলার শিকার হতে যাচ্ছেন। 

এসময় হামাসকে চিরতরে নির্মূলের হুঁশিয়ারিও দেন ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী। হামাস ধর্ষন ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার জন্য দায়ী বলেও অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। 

নেতানিয়াহু জোর দাবি করে বলেন, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা এড়িয়ে চলছে। 

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আন্ততর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার গাজার স্কুল, হাসপাতাল, বেসামরিক স্থাপনা ও লোকদের হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে। পাশপাশি খাদ্য, পানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ বন্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ করে আসছে। 

এর জবাবে তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, হামাস বেসামরিক লোকদেরকে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে যাতে করে ত্রাণ সরবরাহ করা হয় সেখানে আর তা দিয়ে তারা নিজেরাই এগুলো ভোগ করে শক্তিশালী হয়ে ওঠতে পারে।  

এর আগে শনিবার জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির জন্য একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলসহ ১৪ দেশ এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে ৪৫ টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আর এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযানের পূর্ব ঘোষণানুযায়ী ট্যাংক পাঠানো শুরুর করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। 

সূত্র: আরটি 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //