বাবার অভিভাবকত্ব চান না ব্রিটনি

মনোরোগ সংক্রান্ত জটিলতায় ২০০৮ সালে আদালতের নির্দেশে পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বাবা জেমস স্পিয়ার্সকে দেয়া হয় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব। কিন্তু আদালতে প্রকাশ্যে শুনানিতে বাবার বিরুদ্ধে অভিভাবকত্বের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনলেন ব্রিটনি।

২৩ জুন (বুধবার) শুনানিতে ব্রিটনি তার বাবার বিরুদ্ধে ভয়াবহ কিছু অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, তার বাবা তাকে তার বন্ধুকে বিয়ে, এমনকি সন্তান ধারণেও বাধা দিচ্ছেন। জোর করে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রক দ্রব্য ব্যবহারেও বাধ্য করা হচ্ছে। টাকার জন্য তাকে ব্যবহার করা এবং না চাইলেও জোর করে পারফর্ম করতে বাধ্য করার অভিযোগও বাবার বিরুদ্ধে করেছেন ব্রিটনি।

আইনি অভিভাবকত্বের ইতি চেয়ে ব্রিটনি বলেছেন, ‘আমার জীবন আমাকে ফিরিয়ে দাও।’

 ব্রিটনির বাবা জেমস স্পিয়ার্স ও ব্রিটনি

গত বুধবারের শুনানিতে ব্রিটনি স্পিয়ার্স ও তার বাবা- দুই পক্ষই অংশ নেন। ব্রিটনির বাবা জেমসর আইনজীবী আদালতে জানান, এই পপশিল্পীর বাবা খুবই দুঃখিত যে তার মেয়ের এত কষ্ট হয়েছে। জেমস তার মেয়েকে যথেষ্ট ভালোবাসেন।

২০০৮ সালে আদালত একটি কমিটি গঠন করে দেয় ব্রিটনির ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পদের দেখাশোনা করার জন্য ব্রিটনির বাবা জেমস ছাড়াও এই কমিটিতে ছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসের এক অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু ওয়ালেট। জেমস তার মেয়ের ব্যক্তিগত জীবনের দেখাশোনা করতেন আর অ্যান্ড্রু ছিলেন সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্বে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আইন অনুসারে কেউ তার ‘নিজের স্বাস্থ্য, খাবার, ভরণপোষন বা বসবাসের ব্যবস্থা না করতে পারলে’ বা কেউ ‘নিজের খরচ মেটাতে না পারলে বা প্রতারণা ও মাদকদ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখতে না পারলে’ তাকে উপযুক্ত অভিভাবকের অধীনে রাখার নির্দেশ দিতে পারে আদালত।


২০১৯ সালে অ্যান্ড্রু অভিভাবকত্বের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। অ্যান্ড্রু চলে যাওয়ার পর ব্রিটনির বাবাই একক অভিভাবকের দায়িত্ব নেন। কেবল ব্রিটনির ব্যবসা দেখাশোনা নয়, ব্রিটনির পক্ষে সম্পত্তি বেচাকেনা এমনকি কারা তার সাথে দেখা করতে পারবে সেটিও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল জেমসের হাতে।

জেমস একক অভিভাবকত্ব পাওয়ার পরই ২০১৯ সালে একটি মানসিক রোগের হাসপাতালে ভর্তি হন ব্রিটনি। এরপর থেকেই মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #FreeBritney আন্দোলন শুরু করেন তার ভক্তরা। ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ ব্যাপক ট্রেন্ডিং হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কেবল ভক্ত নন, পপ তারকা মাইলি সাইরাস, জাস্টিন টিম্বারলেকসহ জনপ্রিয় অনেক তারকাই ব্রিটনির মুক্তির দাবি তুলেন।


২০২০ সালের আগস্টে ব্রিটনির বাবা ‘ফ্রি ব্রিটনি’ আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ ও ‘কৌতুক’ বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু সে বছরই নভেম্বরে আদালতে এক শুনানিতে ব্রিটনির আইনজীবী স্যামুয়েল ইংগাম বিচারককে জানান, ব্রিটনি তার বাবাকে ভয় পান ও তাকে অভিভাবক হিসেবে চান না। এমনকি জেমস তার অভিভাবক হিসেবে থাকলে ব্রিটনি আর পারফর্ম করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও জানান তার আইনজীবী। - ডয়চে ভেলে

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //