সিলেটি গানে তসিবা

সিলেটি গানে বাজিমাত করেছেন কণ্ঠশিল্পী তসিবা। ২০২০ সালে সিলেটি গান ‘নয়া দামান’ দিয়ে সাড়া ফেলেন তিনি। এরপর ‘আমি পালংক সাজাইলাম গো’, ‘সিলেটি পুরী’, ‘সুন্দর মানুষ’ ও ‘নয়া কন্যা’সহ আরও কিছু গান তিনি উপহার দিয়েছেন। সবগুলোই শ্রোতাদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। 

‘নয়া দামান’ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এ গায়িকার ডাক পড়ে দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে। ২০২১ সালে ‘ইত্যাদি’তে ‘আমি পালংক সাজাইলাম গো’ গানটি দিয়ে আবারও নিজের শিল্পীসত্তার পরিচয় দেন। ‘সিলেটি পুরী’ খ্যাত এ গায়িকা আজকের অবস্থানের জন্য ইত্যাদির কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এত অল্প সময়ে হানিফ সংকেত স্যার আমাকে ডাকবেন কখনো ভাবিনি। এর জন্য আমাদের সিলেটের জনপ্রিয় শিল্পী সেলিম চৌধুরীর অবদান অনেক বেশি। তিনিই হানিফ সংকেত স্যারকে আমার নাম্বারটি দিয়েছেন। ইত্যাদির মাধ্যমেই আমি আমার জায়গা আরও বেশি দৃঢ় করতে পেরেছি।’

এ গায়িকা আগামীতে আরও অনেক দূর যেতে চান। সিলেটি আঞ্চলিক গানের বাইরে বর্তমানে মৌলিক গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন বলে জানান। এর মধ্যে প্লেব্যাকও করেছেন তিনি। মিজানুর রহমান লাবুর ‘আমার অরণ্য’ শিরোনামের একটি সিনেমায় কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। 

তসিবা তার গানের শুরুটা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান আট বছর বয়স থেকে গান করছেন। একই সঙ্গে ‘ক্ষুদে গানরাজ’সহ কয়েকটি প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু সেভাবে কোনো জায়গা করে নিতে পারেননি। তবে হাল ছাড়েননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাই টিকটকের মধ্য দিয়ে নিজের জায়গা শক্ত করার জন্য চেষ্টা শুরু করেন। 

তিনি আরও বলেন, আমি যখন টিকটকে ‘নয়া দামান’ গানটি করি। তখন আমেরিকা প্রবাসী মুজা গানটি দেখে ইনস্টাগ্রামে আমাকে গানটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে তিনি গানটি কম্পোজ করেন। আমি সিলেটের একটা স্টুডিও থেকে গানটার শুধু ভয়েস দিয়ে মুজাকে পাঠিয়ে দিই। এর পর টিকটকের মাধ্যমেই গানটি সবার কাছে পৌঁছে যায়। এক সপ্তাহে গানটির চার মিলিয়ন ভিউ হয়। এভাবেই গানটি আজকের এ জায়গা দখল করে নিল।

তসিবা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ছক এঁকেছেন। তিনি বলেন, গেল কয়েক বছরে অনেকে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে হারিয়ে গেছেন। কিন্তু আমি তাদের মতো হারাতে চাই না। তাই প্রতিনিয়ত গানের অনেক বিষয় শিখছি। লম্বা সময় আমি গান নিয়ে থাকতে চাই।