হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থন আইনে স্বাক্ষর ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থন দানের একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। 

চীনের অন্যান্য এলাকা থেকে হংকং যেন আলাদা স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক আইনের বার্ষিক একটি পর্যালোচনা করা হবে।

‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট ২০১৯’ নামের এই আইনে গতকাল বুধবার স্বাক্ষর করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, চীন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করেছেন।

তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে চীন ও হংকংয়ের নেতা ও প্রতিনিধিরা বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে তাদের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করতে সক্ষম হবেন।

এই আইনে ট্রাম্প এমন এক সময় স্বাক্ষর করলেন যখন ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনের আশা করছিল।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে, এ পদক্ষেপ হংকং বিষয়ে ও চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মারাত্মক হস্তক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার মৌলিক নিয়মের পরিপন্থী। এ সংক্রান্ত আইন পাস যুক্তরাষ্ট্রের একটি আধিপত্যবাদী পদক্ষেপ।

এর প্রতিক্রিয়ায় হংকংয়ের সরকার বলেছে, তারা এই আইনটি পরিস্থিতি সহজ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেনি এবং সেখানকার মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে।

এই আইন বেজিংকেও ক্ষুদ্ধ করবে এবং হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন মাথা না ঘামায়, আগেই এমন অনুরোধ করেছিল চীনের কর্মকর্তারা।

এর আগে মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সেসময় রাষ্ট্রদূতকে তারা সতর্ক করে যে হংকং বিষয়ে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্র এর 'পরিণাম ভোগ করবে।'

তবে মার্কিন কংগ্রেসে এই বিলটির এত ব্যাপক সমর্থন ছিল যে ট্রাম্প যদি ওই প্রস্তাবের বিরোধিতাও করতেন, তাহলেও এটি আইন হিসেবে পাস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

ট্রাম্প এর পাশাপাশি আরেকটি বিলও পাশ করেছেন, যা হংকংয়ের পুলিশের কাছে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও স্টান গানের মতো অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।

এ বছরের জুনে হংকংয়ের বিক্ষোভের শুরুর দিকে এই প্রস্তাবটি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা হয় এবং গত মাসে বিশাল ব্যবধানে কংগ্রেস এটিকে অনুমোদন দেয়।

আইনে বলা আছে, ‘হংকং চীনের অংশ হলেও তাদের স্বতন্ত্র আইনি ও অর্থনৈতিক নিয়মাবলী আছে। বার্ষিক পর্যালোচনায় যাচাই করা হবে যে হংকংয়ের আইনকে খর্ব করে চীন সেখানকার বেসামরিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন ক্ষুন্ন করছে কি না।’-এএফপি ও বিবিসি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //