যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাস্ট্রাজেনকা-জেঅ্যান্ডজের টিকার ট্রায়াল পুনরায় শুরু

যুক্তরাষ্ট্রে আবার করোনাভাইরাসের টিকার ট্রায়াল পুনরায় শুরু করছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসন (জেঅ্যান্ডজে)।

গতকাল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে  প্রতিষ্ঠান দুইটির টিকা পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিল।   

অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক ঘোষণায় বলেছে, টিকা গ্রহণকারী একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছয় সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াল বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন দ্য ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ট্রায়াল পুনরায় শুরুর অনুমোদন দিয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়েই ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু পরপরই ব্রিটেন ও এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও জাপানে পরীক্ষার কাজ পুনরায় শুরু করা হয়। টিকা নেয়ার সাথে অসুস্থতার কোনো সম্পর্ক নেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই টিকা পরীক্ষার কাজ পুনরায় শুরু করা হয়।

এদিকে কোম্পানিটি আশা করছে, চলতি বছরের শেষে তারা টিকা পরীক্ষার ফলাফল পাবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে এবং একে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও উন্নত মনে করা হচ্ছে।

এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ঘোষণার পর পরই জনসন অ্যান্ড জনসন (জেঅ্যান্ডজে) বলেছে, তারা তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষার কাজ পুনরায় শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে। একজন স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত সপ্তাহে তারা তাদের পরীক্ষা স্থগিত করেছিল।

এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, সব ধরণের মেডিকেল পর্যালোচনা শেষে ভ্যাকসিনের সাথে ওই স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে টিকা পরীক্ষা শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে ঠিক কবে পরীক্ষা শুরু হবে, তা জানায়নি জনসন অ্যান্ড জনসন। এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে টিকার পরীক্ষা শুরু হতে পারে। ইনস্টিটিউট রিভিউ বোর্ডের অনুমোদনের জন্য এটি আটকে আছে।

শুক্রবারের এই ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে জড়িত একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, খুব শিগগিরই জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের পরীক্ষার কাজ পুনরায় শুরু করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ সংক্রমণে ২ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। শিগগিরই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে দেশটিতে স্বাস্থ্য সংকটের বিষয়টি সবচেয়ে বড় ধরণের নির্বাচনি ইস্যু।

দেশটির হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের কর্মকর্তা পল ম্যাঙ্গো বলেছেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই তারা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মার্কিনিদের টিকার আওতায় নিতে পারবেন। আর জানুয়ারির শেষ নাগাদ সব সিনিয়র নাগরিক ও মার্চ-এপ্রিল নাগাদ সব মার্কিনিই টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //