নির্বাচনে ঝুলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য

কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে বাকি মাত্র কয়েক দিন। মার্কিন নির্বাচন বরাবরই পুরো বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও এবারের বিষয়টি আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। 

এমনও বলা হচ্ছে- আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের ফলাফলের ওপর বিশ্ব তথা মার্কিন প্রজাতন্ত্রের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে।

অতীতে মাত্র কয়েকবার এমন কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ১৮০০ সালে একবার। অ্যারন বার ও থমাস জেফারসনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেফারসন জয়ী হন। আর অনেকটা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো স্বৈরাচারী আবেগের অন্ধ অনুসারী সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যারন বার হেরে যান। সেসময় অ্যারন বিজয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি হয়তো ভিন্ন হতো। ১৮৬০ সালে গৃহযুদ্ধকে সামনে রেখে নির্বাচনে অংশ নেন আব্রাহাম লিংকন ও স্টিফেন ডগলাস। গ্রেট ডিপ্রেসনের সময়ে ১৯৩২ সালের নির্বাচনের কথাও বলা যায়। তখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্ট সতর্ক করে বলেন, তার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি ব্যর্থ হলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট।

আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে দুই প্রার্থী- বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নির্বাচনের ফলাফলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য যে অনেকটা নির্ভর করছে- এ ধরনের বিরল মতৈক্যে পৌঁছেছেন ইতিহাসবিদ, রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, কূটনীতিবিদ, জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্যান্য খাতের বিশেষজ্ঞরা।

পুরো বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের এখন যে কেন্দ্রীয় অবস্থান রয়েছে, তা এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হারিয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ১৮০০, ১৮৬০ ও ১৯৩২ সালের নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত নবীন বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে এতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি। 

  • ট্রাম্প সত্যিকার অর্থেই সবকিছু ভেঙেচুড়ে নিজের সাম্রাজ্য গড়তে চান, অন্যদিকে বাইডেন বৈশ্বিক পরিসরে ওয়াশিংটনের বিস্তৃত ভূমিকায় রাশ টানতে চান। তবে উভয় ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যবস্থা ধসে পড়ার বার্তাই পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের ভাগ্য এখন কোনদিকে ধাবিত হয়, তা দেখার জন্য আমাদের নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

অনেকে বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া গোষ্ঠী এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অনেক ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে কভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, জাতিগত সহিংসতা ও জাতীয় বিভাজনে ট্রাম্পের খোলামেলা উৎসাহে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে ২৪৪ বছরের প্রাচীন মার্কিন প্রজাতন্ত্রের আইনে আজীবনের ক্ষতি হয়ে যাবে বলেও দাবি অনেকের। প্রথম মেয়াদেই কংগ্রেস ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন ট্রাম্প। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পররাষ্ট্রনীতি ইচ্ছামতো পরিচালনা করেছেন, কোনো ইলেক্টোরাল নিয়মনীতি মানেননি। এমনকি রিপাবলিকান পার্টিকেও তিনি খেলো করে তুলেছেন। 

এ অবস্থার মধ্যে ট্রাম্প যদি আবার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক আইন কানুন ও এখনো টিকে থাকা ভারসাম্যের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা হবে বলে ধারণা অনেকের। শুধু তা-ই নয়, পুনরায় ট্রাম্পের বিজয়ী হওয়া মানে তার নিজের সেই স্বগতোক্তির প্রমাণ দেয়া- প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ‘যা খুশি তা-ই’ করতে পারেন। 

অন্যদিকে ভিন্ন ধরনের গণতন্ত্রের বুলি আওড়ে এতদিন ধরে অহঙ্কার করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র, তারাই এখন ব্যর্থ রাষ্ট্রের ভাগাড়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় রিপাবলিকান ও ট্রাম্প প্রশাসনের হয়ে কাজ করা সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই এখন দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ সরাসরি সতর্ক করে বলেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। 

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসবিদ এডওয়ার্ড জে ওয়াটস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি এখন খুবই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত। ট্রাম্প যদি পুনরায় জিতে যায়, তাহলে আমি মনে করি মার্কিন গণতন্ত্রের নিয়ম-নীতিমালা ও সংযম পুরোপুরি উবে যাবে। যদি বাইডেন বিজয়ী হন, তাহলেও যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা বড় ধরনের সুখবর নিয়ে আসবে, এমনটিও নয়। কারণ বাইডেন ক্ষমতায় এলেও মার্কিন অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে লম্বা সময় লেগে যাবে।’

জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক কূটনীতিবিদ চার্লস কাপচানও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন এ বিষয়ে কারও মনে কোনো প্রশ্ন নেই। ১৮০০ ও ১৮৬০ সালে অনুষ্ঠিত জটিল ও কঠিন নির্বাচনের চেয়েও এবারের নির্বাচন বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সেসময় যুক্তরাষ্ট্র ততটা গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে ওঠেনি। আমরা ইতিহাসের কঠিন সময়ে প্রবেশ করেছি। ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। শীতলযুদ্ধ-পরবর্তী সময়েও পরিস্থিতি অনেক সহজ ছিল; কিন্তু বর্তমানে একদিকে চীনসহ সমগ্র এশিয়ার কাছে অগ্রগতির দিক থেকে হেরেছে, অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবেও মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশটি।’

এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে, তাই ২০২০ সালের নির্বাচন পুরো বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুই অতীতে ক্ষমতা, সাম্রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিষয়ও। 

ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিনিধি আইভো ড্যালডার বলেন, ‘ট্রাম্প যদি জিতে যান অথবা কোনোভাবে ক্ষমতা করায়ত্তে সক্ষম হন, তাহলে এটি হবে ইউরোপ ও পশ্চিমের সাথে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের সমান।’ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ইউরোপীয় বন্ধুদের ক্ষমতার চার বছরে শুধু উপহাসই করেছেন ট্রাম্প। এমনকি তিনি জার্মানি থেকে মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে নিয়ে আসার ঘোষণাও দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আগস্টে এফপি অ্যানালাইটিকসের বিশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের তৎপরতার ভিত্তিতে তৈরি করা তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৩৬টি দেশের মধ্যে ৩১তম। এক্ষেত্রে ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ভারত ও রাশিয়ারও নিচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। দ্রুত বিজ্ঞানসম্মত প্রতিক্রিয়া জানাতে মার্কিন সরকারের অক্ষমতা, স্বাস্থ্যসেবা খাতে অপর্যাপ্ত বরাদ্দই যুক্তরাষ্ট্রকে এ অবস্থানে নামিয়ে এনেছে। 

সব মিলিয়ে ট্রাম্পের আমলে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ তার জৌলুস হারিয়েছে অনেকখানি। আইরিশ টাইমসে কলাম লেখক ফিনতান ও’টোলে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন পুরো বিশ্বের কাছে করুণা চাইছে। কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে মার্কিন সরকারের ভূমিকা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে মার্কিন সিস্টেমে গভীর সমস্যা রয়েছে।’

এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞই আশা করছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাবেন ও এই ফল তিনি মেনে নেবেন। যদিও ট্রাম্প আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি পরাজয় নাও মেনে নিতে পারেন। আর এমনটি হলে তা জন্ম দেবে নতুন সংকটের। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইরানের পারমাণবিক চুক্তি, আইএনএফ ট্রিটি ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মতো অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছেন ট্রাম্প। পরবর্তীকালে তিনি আর সেগুলো ঠিকঠাক করতে পারেননি। চীনকে চাপে রাখার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা টিপিপির রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন; কিন্তু ট্রাম্প এ চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সৃষ্টি করা নানা বিভাজন, বিভিন্ন তদন্ত ও অভিশংসন কার্যকলাপে রীতিমতো স্থবির ও মেরুকরণ হয়ে পড়েছে মার্কিন কংগ্রেস।

তবে বাইডেনের পক্ষেও পুরো ব্যাপারটি সহজ হবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় টিপিপির কথা। তার দলের অনেকেও অবাধ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে নয়। বাইডেন এরই মধ্যে জানিয়েছেন, টিপিপি বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তাতে তিনি সহসাই যোগ দেবেন না। বাইডেনও অনেক ক্ষেত্রে ট্রাম্পের মতো কথাই বলছেন। যেকোনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার আগে তিনি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ট্রাম্পের মতো ৪০০ ডলারের ‘বাই আমেরিকা’ উদ্যোগের ওপর জোর দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্পের মতোই তিনি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাঘাঁটি রাখার বিপক্ষে এবং ইরাক থেকে আরো দ্রুতহারে সেনা ফিরিয়ে নেয়ার পক্ষে। ট্রাম্প-বাইডেন যিনিই এই মার্কিন নির্বাচনে বিজয়ী হোন না কেন, নাগরিকদের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প হেরে গেলেও তার কৃতকর্ম বড় হুমকি হিসেবেই থেকে যাবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা এখন দেশটির পরিণতি নিয়ে সবচেয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। জন মেয়ারশেইমারের মতো বিশিষ্ট বাস্তববাদী চিন্তাবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক করে আসছেন- আমেরিকান স্টাইলে উদার আন্তর্জাতিকবাদের মধ্যে নিজেকে ধ্বংসের বীজ লুকায়িত আছে। আর এই ধ্বংসের বীজ হচ্ছে- অতি উচ্চাকাক্ষা ও প্রযুক্তি। প্রাচীন রোমের কথাই ধরা যাক, অহঙ্কার ও ভূরাজনীতিতে অতিরিক্ত উপস্থিতিই দেশটির ধ্বংস ডেকে এনেছিল। দ্য হিস্টোরি অব দ্য ডিক্লাইন অ্যানড ফল অব দ্য রোমান এম্পায়ারের লেখক এডওয়ার্ড গিবন তার ক্ল্যাসিকে লিখেছেন, ‘রোমের ধ্বংস হওয়া ছিল মাত্রাতিরিক্ত অহঙ্কারের প্রাকৃতিক ও অনিবার্য ফলাফল।’

আজ থেকে ৬০ বছর আগে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে বিদায় নেয়ার আগে ওয়েট ডি. আইজেনহাওয়ার সতর্ক করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ‘সচেতন ও জ্ঞানী’ নাগরিক প্রয়োজন। তবে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নাগরিকই বিশ্ব শান্তি রক্ষায় নিজেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করতে ভুলে গেছে। এছাড়া মূলধারার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের নেয়া দুর্বল নীতিমালার কারণে সাধারণ মানুষও বিরক্ত। চীনের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার প্রতি দলগুলোর দাম্ভিক মনোভাবের ফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার মানুষকে কাজ হারাতে হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বুলিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাকে নির্বাচিত করে সাধারণ মানুষ। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিদেশবিমুখ ও একনায়ত্বের নতুন ঢেউয়ের সূচনা করেন। শুরুতে ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ডে সবাই রোমাঞ্চিত হলেও, এখন অনেকেই ভীত। ট্রাম্পের সৃষ্টি করা নতুন বর্ণ ও জাতিগত বিভাজন সামাজিক অস্থিতিশীলতা অনেকখানিই বাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দেশটিকে প্রাচীন রোমের মতো পরিণতি বরণ করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঐতিহাসিক সাদৃশ্যগুলো অতিরঞ্জিত করে দেখাও ভুল হবে। বাস্তব কথা হলো- যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি চরম বাজে হলেও প্রাচীন রোম ও অন্যান্য ব্যর্থ প্রজাতন্ত্রের মতো একইরকম হবে না। এটিও ঠিক, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা অথবা বাইডেন বিজয়ী হওয়া- দুটি দিকেরই ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বে মার্কিন আধিপত্যের প্রভাবের বিষয়টি সবচেয়ে আলোড়িত হবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে। 

ট্রাম্প সত্যিকার অর্থেই সবকিছু ভেঙেচুড়ে নিজের সাম্রাজ্য গড়তে চান, অন্যদিকে বাইডেন বৈশ্বিক পরিসরে ওয়াশিংটনের বিস্তৃত ভূমিকায় রাশ টানতে চান। তবে উভয় ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যবস্থা ধসে পড়ার বার্তাই পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের ভাগ্য এখন কোনদিকে ধাবিত হয়, তা দেখার জন্য আমাদের নির্বাচনের ফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //