সুপার বৌলের বিজয় প্যারেডে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ২১

এনএফএল চ্যাম্পিয়ন সিটি চিফ সুপার বৌলের বিজয়ী প্যারেড উৎসবে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের কাছে বিজয় উৎসব উদযাপনের সময় মিসৌরির ডাউনটাউনে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে বলে নিরাপত্তা কর্মীরা জানান। এ সময় বিস্ফোরণের শব্দে সবাই প্রাণভয়ে এলোপাতাড়ি দৌড় শুরু করলে ভিড়ের কারণে কমপক্ষে একজন নিহত এবং ২১ জন আহতের ঘটনা ঘটে। এদিকে গুলি করার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানসাস সিটির ডাউনটাউন রেল স্টেশন ইউনিয়ন স্টেশনে এই গোলাগুলির সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ প্রধান স্টেসি গ্রেভস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্যারেডের পর শহরের ল্যান্ডমার্ক ইউনিয়ন স্টেশনের কাছে রক্তপাতের ঘটনায় তিনজনকে আটকের পাশপাশি বিষয়টির তদন্ত কাজও শুরু হয়েছে। 

গ্রেভস বলেন, ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে বন্দুকের গুলি ও পরবর্তী বিশৃঙ্খলায় আহতদের মধ্যে ১১ জন ছিল ৬ বছরের কম বয়সী শিশু।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহত ২২ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। স্থানীয় রেডিও স্টেশন কেকেএফআই নিহত এই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম লিসা লোপেজ যিনি ডিজে (ডিস্ক জকি) এবং অনুষ্ঠানের হোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট প্রধান রস গ্রান্ডিসন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জীবন এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। 

এ ঘটনায় কানসাস সিটির মেয়র কুইন্টন লুকাস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বন্দুকের সহিংসতার ব্যাপকতা যে কোনও জনসাধারণের অনুষ্ঠানের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করা কঠিন করে তুলেছে। 

"প্যারেড, সমাবেশ, স্কুল, সিনেমা-মনে হচ্ছে প্রায় কোনো কিছুই আর নিরাপদ নয়"  বলেও গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেন এই ডেমোক্র্যাট মেয়র। 

এদিকে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় আটজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অন্য সাত জনের অবস্থাও ভালো নয়। স্থানীয় একটি হাসপাতাল তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ৯ শিশু রয়েছে। জানা যায় ওই অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার জনতা অংশ নিয়েছিল। 

ইউনিয়ন স্টেশনের বাইরে স্থানীয় সময় বিকাল ২টার দিকে প্যারেড শেষে গুলি শুরুর সময় কানসাস সিটি চিফের খেলোয়াড়রা তখনও মঞ্চে অবস্থান করছিলেন। পরে গুলি শুরু হতেই হাজার হাজার মানুষ এলোপাতাড়ি দৌড়াতে শুরু করে। এর মধ্যে শহরটির মেয়র ও তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন বলে জানা গেছে। 

কর্মকর্তারা বলছেন, প্যারেডের সময় কমপক্ষে ৮০০ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার জন্য সেখানে ছিলেন। এমনকি সমাবেশের নিরাপত্তা রক্ষায় আশপাশের ভবনগুলোর ছাদেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। 

জানা যায়, গুলি চালানোর সময় কানসাসের গভর্নর লরা কেলিও সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র রয়টার্স, বিবিসি 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //