বিপন্ন মানুষের পাশে

একটি রোগ, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ভাইরাস মানুষকে কতটা বিপন্ন, হতবুদ্ধ ও অসহায় করে তুলতে পারে, করোনার আক্রমণ আজ তা আমাদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে। 

পুরো বিশ্ব আজ অচেনা এক চেহারায় হাজির। বদলে গেছে চেনা মানুষ আর তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক। আজন্ম লালিত শিষ্ঠাচারগুলো পালন করাও হয়ে উঠেছে বিপদকে কাছে টানার এক ভয়াল উপসর্গ। জ্বর হলে মাথায় হাত রাখা স্নেহময় হাতগুলো দূরে সরে গেছে বিভীষিকাময় আতঙ্কে। অসুস্থ ছেলের পাশে নেই কোনো স্বজন, করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধা মাকে গাজীপুরের জঙ্গলে ফেলে রেখে গেছেন সন্তান। 

চারদিকে অসহায়ত্ব, হাহাকার, মনুষত্বের পরাজয়, ত্রাণসামগ্রী লুট, জীবনযাপনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাফিয়ে লাফিয়ে ঊর্ধ্বমুখী দামের মন খারাপ করা সব খবর।

এই এতসব অন্ধকারের মধ্যেও হঠাৎ করে আলোর ঝলকের মতো উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে কিছু মুখ। ব্যক্তিগত, সাংগঠনিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্তর থেকে তারা এই দুর্যোগে নিজেদের সক্রিয় রেখেছেন বিপন্নদের সহায়তায়। পরিবার আর নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মিডিয়া কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মানবতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এইরকম মানুষের সংখ্যা কিন্তু নেহায়েত কম হয়। আজ তাদেরই কয়েকজন এই লেখার উপজীব্য।

এক. 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী মহিউদ্দিন রিপন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী মহিউদ্দিন রিপন। করোনাভাইরাসের কারণে গাড়িশূন্য হয়ে পড়া এই সময়ে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন অসহায় মানুষের এক নিরাপদ আশ্রয়। করোনা আতঙ্কে যখন কোনো রোগী দেখলে ডাক্তাররা পর্যন্ত সরে যেতে চান নিরাপদ দূরত্বে, পরিচিতরা মুখ ফিরিয়ে নেন, সেখানে মহিউদ্দিন তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে আবার কাউকে কাউকে বাসায়ও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এসব কিছুই করছেন একদম বিনা ভাড়ায়। ফেসবুকে নিজের ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘কোথাও যদি কোনো রোগীর গাড়ির প্রয়োজন হয়, আমি নিজে গিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে আসব। গাড়ি ভাড়া দিতে হবে না।’ 

বেশির ভাগ সময় নিজেই রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। তবে ব্যস্ততা থাকলে পাঠান চালককে। গাড়ির খরচের জন্য নিজের বেতন থেকে ১০ হাজার টাকাও বরাদ্দ রেখেছেন এই মহৎপ্রাণ মানুষটি।

দুই.

আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ নামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা

করোনা আক্রান্ত রোগী যেমন, লাশও এখন তেমনি মানুষের কাছে অচ্ছুত। এমনকি আতঙ্কিত স্বজনরাও লাশের কাছে ভিড়ছেন না। এই যখন অবস্থা, তখন দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মৃত মানুষের দাফনের কাজটি করে আসছেন ‘আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের ১৫ সদস্য।

অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের ঠিকমতো জানাজা পড়ানো হচ্ছে না। কিন্তু আল মারকাজুল ইসলামীর কর্মীরা শরিয়ত সম্মতভাবে মরদেহ সৎকারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন মানুষকে। যখনই করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহে কারো মৃত্যু হচ্ছে, মরদেহ দাফনে বেরিয়ে পড়ছেন তারা। এই টিমকে গঠন করা হয়েছে যেন সুন্দরভাবে জানাজা হয়, সুন্দরভাবে দাফন-কাফন হয়। 

তিন.

যদি বেঁচে ফিরি আবার নামবো রাস্তায়- স্বেচ্ছাসেবক শেখ ঈশান

দেশের নানাপ্রান্তে এখন বহু উদ্যমী তরুণ মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে করোনার আক্রমণ থেকে আশপাশের মানুষকে বাঁচাতে পথে নেমেছেন। খেয়ে না খেয়ে তারা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের জন্য তাদের ভালোবাসা, আত্মত্যাগ হয়তো রয়ে যাবে সবার অলক্ষ্যেই। আজকের লেখায় তুলে ধরব এই সব তরুণদের মতোই এক আলোকিত মুখ ময়মনসিংহ শহরের স্বেচ্ছাসেবক শেখ ঈশানের কথা। 

করোনা থেকে ময়মনসিংহ শহরের মানুষকে বাঁচাতে গত ২৮ মার্চ পরিচিতদের নিয়ে ‘তারুণ্যের দল’ নামে ১০ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন তিনি। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় জীবাণুনাশক স্প্রে করার মেশিন, পিপিই, হ্যান্ডগ্লাভস ও মাস্ক জোগাড় করেন। এরপর প্রতিদিন কাঁধে জীবাণুনাশকের ড্রাম রাস্তা ঘাট, বাসাবাড়ি, বিভিন্ন যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে নেমে পড়েন শেখ ঈশানের তারুণ্যের দল। তবে মানুষকে বাঁচাতে পথে নামা তরুণ ঈশান আজ নিজেই আক্রান্ত। বতর্মানে ময়মনসিংহের মাসকান্দায় তার বাসায় অবস্থান করছেন। তার বক্তব্য ‘যদি বেঁচে ফিরি আবার নামবো রাস্তায়’

চার.

গ্লোবাল ফেস মাস্ক ট্রেডিং

করোনাভাইরাসের খবর বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরার পর থেকেই মাস্কের মূল্য আকাশছোঁয়া হয়ে পড়েছিল। কোনোভাবেই এই সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করা যাচ্ছিল না। তবে ফেসবুক গ্রুপের ছোট্ট একটি উদ্যোগ এক্ষেত্রে দারুণ এক উদাহরণ সৃষ্টি করে। সহিবুর রহমান খান রানা নামের একজন উদ্যোক্তা ফেসবুকে ‘গ্লোবাল ফেস মাস্ক ট্রেডিং’ নামের একটি গ্রুপ চালু করেন। এরপর সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাকে সেই গ্রুপে এড করেন। প্রথম দিকে বেশি মূল্যে বেচাকেনা হলেও পরে খুব দ্রুত মূল্য কমে আসে। 

গ্রুপটি চালু হওয়ার মাত্র চারদিনের মাথায় ৩০ টাকার ফ্যাব্রিক মাস্কের দাম চলে আসে ৬ থেকে ৮ টাকায়। প্লাস্টিকের ফিল্টারের দাম ৮ টাকা থেকে চলে আসে ২ টাকারও নিচে। চীনের ক্লোন করা ফিল্টার লাগানো মাস্কগুলো ফ্যাব্রিকের কোয়ালিটি বুঝে দাম চলে আসে ৮০ টাকা থেকে ১৫-২৫ টাকার মধ্যে। চীনের ক্লোন সার্জিক্যাল নন ওভেন মাস্ক ২/৩ পার্টেরগুলো চলে আসে ৮/১০ টাকার মধ্যে, যার দাম চাওয়া হচ্ছিল ৩০ টাকার ওপরে। যারা চীন ও অন্যান্য দেশের ইমপোর্টেড মাস্ক স্টক করে রেখেছিলেন তারাও ভয় পেয়ে দাম অনেক কমিয়ে স্টক করা বন্ধ করে দিলেন।

এভাবেই ভেঙে যায় মাস্কের সিন্ডিকেট। ছোট ছোট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা মাস্কের কাছাকাছি প্রোডাক্ট বানাতে শুরু করে। গ্রুপের কল্যাণে মাস্কের মেশিন, অ্যাক্সসেসোরিজ, কাপড়সহ অনেক কিছু একটি জায়গায় পাওয়ায় তাদের মাস্ক বানাতেও সুবিধা হয়। 

মাস্কের পাশাপাশি এখন সেখানে সকল ধরনের পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পাওয়া যায়। এখানে দাম যাচাই করার সুযোগ রয়েছে ও অনেক পাইকারি বিক্রেতা ও ইম্পোর্টার যোগ দেয়াতে তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বাজার। যার ফলে দাম চলে এসেছে হাতের নাগালে। প্রায় আট হাজার মাস্ক ক্রেতা-বিক্রেতা অনলাইনেই বেচাকেনা করতে পারছেন সুবিধামতো। প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে।

পাঁচ.

কানাডা কভিড-১৯ রেসপন্স টিমের সহনেতৃত্বে আছেন কীর্তিমান বাংলাদেশি ডক্টর সাফি ভূঁইয়া

টরেন্টো শহরের একদল গবেষক মিলে তৈরি করেছেন একটি বিশেষ করোনা মানচিত্র। সচল এই মানচিত্রের মাধ্যমে বোঝা যাবে সেখানকার কোন এলাকায় করোনা সংক্রমণ কী মাত্রায় হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মানচিত্র তৈরিতে কাজ করা গবেষক দলকে নির্দেশনা দেয়া ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর বিশ্ব জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাফি ভূঁইয়া একজন বাংলাদেশি। 

ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনার পর নানা দেশে কাজের পর এখন কানাডিয়ান কোয়ালিশন ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের বোর্ড চেয়ার হিসেবে তিনি কর্মরত। কানাডা কভিড-১৯ রেসপন্স টিমের সহনেতৃত্বে আছেন এই কীর্তিমান বাংলাদেশি।

কানাডার নিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ কভিড-১৯ রোগীদের তথ্যসহ একটি ডেটাবেইস তৈরি করেছেন তারা। যা মূলত কানাডার সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ও সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে সাহায্য করছে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য কোনো এলাকার হাসপাতালগুলোর কী মাপের প্রস্তুতি দরকার, সেটি বুঝতেও এটি কাজে লাগে। 

ছয়.

করোনাযোদ্ধা অণুজীববিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই যুদ্ধের একজন যোদ্ধা অণুজীব বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল। তার নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করার কিট তৈরিতে সফলতা পেয়েছেন। তার নের্তৃত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষণাগারে তৈরি স্বল্প মূল্যের করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট একেবারেই কম দামে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

অবশ্য অণুজীব বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীলের সাফল্য এটাই প্রথম নয়। ১৯৯৯ সালে তিনি ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিলেন। তাছাড়া ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সিঙ্গাপুরে ভাইরাসটি দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতিও তিনিই উদ্ভাবন করেন।

সাত.

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে অনেকেই নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এদেরই একজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

নিজের থাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি ও ব্যক্তিগত পাজেরো গাড়ি চালকসহ তিনি ডাক্তারদের ব্যবহারের জন্য দিয়েছেন। তার ওই বাড়িতে ডাক্তারসহ ১৭ জন থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। আর নিজে অন্যত্র পরিবার নিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আট.

নিম্নআয়ের মানুষকে প্রতিদিন একবেলা করে খাবার দিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ

করোনা সংক্রমণের মধ্যে উপার্জনহীন অসংখ্য পরিবার, ঘরে ঘরে না খেতে পাওয়া অনাহারী মানুষ। সরকারের নানা রকম উদ্যোগের বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে অসংখ্য মানুষ তাদের সাধ্যঅনুযায়ী এই সব অনাহারী মানুষের মুখে কিছুটা খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একটি লেখায় তাদের সবার কথা হয়ত বলা সম্ভব নয়। তবে একটি উদ্যোগের উল্লেখ করছি। এই অসহায় সময়ে ঘরেবন্দি রাজধানীর প্রায় ছয় হাজার নিম্ন আয়ের মানুষকে প্রতিদিন একবেলা করে খাবার দিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এই খাবারের জন্য কাউকে কোথাও লাইন দিতে হয় না। পুলিশের গাড়িই বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়ে আসে।

এসব খাবার রান্না করা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিওএমের (দাঙ্গা দমন বিভাগ) রান্নাঘরে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে খাবার প্রস্তুত করে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় থানায় পৌছে দেয়া হয়। কোন থানায় কত খাবার যাবে তার তালিকা আগে থেকে তৈরি করা থাকে। সেই অনুযায়ী খাবার চলে যায় থানায় থানায়। এরপর থানা পুলিশ বিভিন্ন বস্তি ও বসতবাড়িতে গিয়ে সেই খাবার পৌঁছে দিয়ে আসে। দুপুরের মধ্যে সব খাবার বিতরণ শেষ হয়ে যায়।

বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুলিশকে এই কাজে আর্থিক সহায়তা করছে। তারা নিজেরা যেহেতু খাবার বিতরণ করতে গিয়ে নানা জটিলতায় পড়েন। তাই পুলিশের মাধ্যমে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই দরকারি মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে। থানার কর্মকর্তারাও খুশি মনে এ দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজের উদ্যোগে খাবারের পাশাপাশি দরকারি সহায়তাও দিচ্ছেন।

নয়.

কৃষকদের ধান কাটার কাজে সহায়তা করছে পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কৃষি শ্রমিকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় ধান কাটা নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন চরম সংকটে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে যেসব কৃষি শ্রমিক মৌসুমে ধান কাটতে যেত তারা যেতে পারছে না।

এই অবস্থায় এই কৃষকদের ধান কাটার কাজে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণরা। যুগে যুগে তরুণরাই শত বাধা অতিক্রম করে বন্ধুর পথকে মসৃণ করেছে। আজ করোনাভাইরাসের সেই দুর্যোগকালেও তারা বসে নেই। এমনকি যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষের অজস্র অভিযোগ, আজ তারাও বিপন্ন কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

দশ.

 ৯৯ বছরের প্রবীণ ক্যাপ্টেন টম

এবারে যার প্রসঙ্গ, তিনি এই দেশের মানুষ নন। কিন্তু তার কাজ মানবতার পক্ষে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৯৯ বছরের প্রবীণ ক্যাপ্টেন টম হাসপাতালে সাহায্যের জন্য হেঁটে হেঁটে ৪০ লাখ পাউন্ড তুলেছেন। ঠিকভাবে তিনি হাঁটতেও পারেন না। ৯৯ বছরের এই বৃদ্ধের হাঁটার জন্য এক ধরনের ওয়াকারের সাহায্য নিতে হয় তাকে। তবু অদম্য টম। প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //