নতুন রাজনৈতিক লক্ষ্যের সন্ধানে

বাংলাদেশে রাজনীতি ও জনজীবন সুস্থ স্বাভাবিক নয়- রুগ্ন বিকারপ্রাপ্ত, দুর্বল এবং রাষ্ট্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী শক্তিসমূহের দ্বারা পরিচালিত। ভারতও বাংলাদেশের উপর প্রভাবশালী, তবে ভারত মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের মুঠোর মধ্যে চলে যাচ্ছে এবং স্বাধীনভাবে চলার, সামর্থ্য হারিয়ে চলছে।

বাংলাদেশের বেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার বাইরে ভারত কিছু করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু হয়ে ভারত যেভাবে চলছে তাতে অনতিকালের মধ্যেই ভারতের রাজনীতিও হয়তো রুগ্ন ও বিকারপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির পর্যায়ে নেমে আসবে। ভারতে এরই মধ্যে এনজিও, সিভিল সোসাইটি, মৌলবাদ-বিরোধী আন্দোলন, নারীবাদী আন্দোলন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন, মানবাধিকার আন্দোলন, পরিবেশবাদী আন্দোলন, উত্তরাধুনিকতাবাদী ভাবধারা ইত্যাদি শিকড় গেড়েছে এবং দ্রুত জোরদার হচ্ছে। এসবের মধ্যে দিয়ে নিঃরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া সেখানেও আরম্ভ হয়েছে। বাংলাদেশে এসবের আরম্ভ ভারতের অন্তত বিশ বছর আগে। ভারতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি, গোয়েন্দা নীতি, লগ্নিপুঁজি, প্রচারনীতি ইত্যাদি ভীষণভাবে কার্যকর। বাংলাদেশে ও ভারতে রাজনীতি এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছে যে, পুরাতন সংস্কার, বিশ্বাসের ও ধর্মীয় শক্তির পুনরুজ্জীবন ঘটছে। স্বরণ করা যেতে পারে যে, বাংলা-বিহার-ওড়িশা ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে যাওয়ার পরবর্তি একশো বছরে একটি প্রদেশ করে আসমুদ্রহিমাচল সমগ্র ভারত ব্রিটিশ শাসনে গিয়েছিল।

বাংলাদেশে বংশাণুক্রমিক নেতৃত্ব ও পরিবারতন্ত্র মন্ত্রি পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্ষন্ত সুপ্রতিষ্টিত হয়ে চলছে। গণতন্ত্রের নামে উত্তরাধিকারভিক্তিক নেতৃত্বের এই ব্যবস্থা ক্রমেই আগেকার রাজতান্ত্রিক, জমিদারতান্ত্রিক ব্যবস্থার মতো গণবিরোধী ও শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ অসহায়, গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির কাছে জিম্মি। 

বাংলাদেশে এখন কেবল ভোটাভুটি দ্বারা সরকার গঠনকেই বলা হচ্ছে গণতন্ত্র। আসলে ভোটাভুটি দ্বারা গঠিত সরকার গণতান্ত্রিক না হয়ে স্বৈরতান্ত্রিকও হয়ে থাকে। নির্বাচিত স্বৈরাচার সাধারণত অনির্বাচিত স্বৈরাচারের চেয়ে বেশি অত্যাচারী হয়, এবং অনির্বাচিত স্বৈরাচারের রাষ্ট্রেক্ষমতায় আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়। দুঃশাসন, নির্বাচিত সরকারেই হোক আর অনির্বাচিত সরকারেরই হোক তা দুঃশাসনই। বাংলাদেশে রাজনীতি অস্বাভাবিক হওয়ার ফলে প্রশাসন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা - কোনোটাই স্বাভাবিক নয়। 

জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতিসংঘের সদস্যপদ বাংলাদেশের আছে। তবে এগুলো এখন আর রাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক নয়। বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থ রাষ্ট্রে কথাটাই অত্যন্ত বেশি সত্য। দেশ আছে, জনগণ আছে, মানুষের জীবনযাত্রা চলছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ঘটছে; কিন্তু রাষ্ট্র কি গড়ে উঠেছে? আফগানিস্তান, ইরাক ও লিবিয়ারও জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতিসংঘের সদস্যপদ আছে। কিন্তু এই রাষ্ট্রগুলো (?) পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ইচ্ছানুযায়ী গঠিত পুতুল সরকার দ্বারা। আর যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা এসব রাষ্ট্রের উপর কেবল কর্তৃত্বই করছে না, তাদের তেল-গ্যাস ও অন্যান্য খনিজসম্পদ লুটে নিচ্ছে। আমাদের কর্তব্য, বাংলাদেশের দুর্গতি গভীরভাবে বুঝে দুরদর্শিতার সঙ্গে দেশটাকে ‘জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে’ রূপে গড়ে তোলার জন্য কাজ আরম্ভ করা।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর উন্নত রাজনৈতিক চরিত্র অর্জনের কিংবা জনগণের ভেতর থেকে উন্নত চরিত্রের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রচেষ্টা খুঁজে পাওয়া যায় না। এটা কেবল রাজনীতিবিদদেরই ব্যর্থতা নয়, এটা আমাদের জাতীয় ব্যর্থতা। 

গণতন্ত্রের কথা চরম উগ্রতার সঙ্গে ভীষণভাবে বলা হয়, এবং গণতন্ত্রের জন্য গণতন্ত্র বিষয়ে কোনো শিক্ষাগত কিংবা সাংগঠনিক প্রস্ততি ছাড়াই গণতন্ত্র আশা করা হয়। স্বৈরাচারী রাজনৈতিক দল দিয়ে আর সিভিল সোসাইটিসমূহের বিশিষ্ট নাগরিকদের টক শো ও ‘প্রাসাদ ষড়যন্ত্র’ দিয়ে গণতন্ত্র প্রবর্তনের চেষ্টা চালানো হয়। গণতন্ত্রের ধারণাকে সর্তকতার সঙ্গে সীমাবদ্ধ রাখা হয় কেবল ভোটাভুটির মাধ্যমে সরকার গঠনে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে যা বলা হয় এবং করা হয় তা কোনো গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল অপরিহার্য। গণতন্ত্রের রূপ ও প্রকৃতিকে দেশ-কালের উপযোগী করে গভীরভাবে বুঝতে হয়। গণতন্ত্রের জন্য শিক্ষাদীক্ষার দরকার আছে। শিক্ষকের যেখানে অভাব সেখানে অভিজ্ঞতার ভিক্তিতে নিজের চেষ্টায়ই শিখতে হবে। গণতন্ত্রের শোনা-কথা-ভিত্তিক জ্ঞান নিয়ে আর অগণতান্ত্রিক দল নিয়ে কস্মিনকালেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

গণতন্ত্র আমদানি রফতানির জিনিস নয়। গণতন্ত্র রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জনগণের সামর্থ্যরে ব্যাপার। সামর্থ্য এমমিতেই হয় না, অর্জন করতে হয়। পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিবর্গ চলে তাদের ‘আধিপত্য ও নির্ভরশীলতানীতি’ নিয়ে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র কায়েম করার জন্য পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিবর্গের কূটনীতিকরা এখানে নিযুক্ত হননি। বাংলাদেশের যে রাজনীতিবিদেরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র কায়েম করার কথা বলে পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিবর্গের স্থানীয় দূতাবাসগুলোতে বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য ধর্ণা দিতে যান, তাদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র নয়, অন্যকিছু। রাজনৈতিক দুর্গতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনজীবনে এবং ভূ-তাত্ত্বিক ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় উত্থানের সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের জনগণের আছে গৌরব জনক সংগ্রামী ঐতিহ্য। কৃষি সম্ভাবনা ও খনিজসম্পদে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতাকে বাংলাদেশের অনুকূলে আনা সম্ভব। অভাব যোগ্য নেতৃত্বের।

যে রাজনীতি দেশে চলছে, আমরা তার আমূল পরির্বতন চাই। কেবল সরকার পরিবর্তন দিয়ে মোট জনসংখ্যার শতভাগ পঁচানব্বই ভাগ মানুষেরই কোনো উপকার হয় না। আমরা চাই শতভাগ মানুষের জন্য গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধিমান জীবন। আমরা চাই জনগণের জন্য পর্যায়ক্রমে ন্যায় বাড়ানো ও অন্যায় কমানো। আমরা চাই রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে চলার সামর্থ্য অর্জন করুক এবং সুষ্ঠু আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে নিজের অস্তিত্বকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করুক। বাংলাদেশের ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে থাকা আমাদের জন্য চরম দুর্ভাগ্যজনক। যে গণতন্ত্রের প্রচার অত্যন্ত উগ্রতার সঙ্গে ক্রমাগত জানানো হয়, যে গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতালিপ্সু আসহিষ্ণু রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মত্ত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে, যে গণতন্ত্রের নামে জনগণের উপর ক্রমাগত দুঃশাসন ও শোষণ-পীড়ন, প্রতারণা চালালো হয়, যে গণতন্ত্রের নামে শতকরা পাঁচভাগ লোক শতকরা পঁচানব্বই ভাগ লোককে বঞ্চিত করে সবকিছু লুটে পুটে নেয়, সেই গণবিরোধী গণতন্ত্রের বদলে আমরা চাই শতভাগ মানুষের গণতন্ত্র। জনগণ চাওয়ার মতো করে চাইলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অবশ্যই সম্ভব হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষিত সেই গণতন্ত্রকে আমরা নয়া গণতন্ত্র নাম দিয়েছি। নয়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ও পরিচালনায় জন্য উন্নত চরিত্রের রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব লাগবে। 

নয়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সরকার পদ্ধতি হবে এখানকার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন- শতভাগ মানুষের জন্য কল্যাণকর। জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হবে নির্বাচন অংশগ্রহণকারী দলসমূহের প্রাপ্ত ভোটের ভিক্তিতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দ্বারা। সম্পত্তির মালিকানা, ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর ও উত্তরাধিকারকে, ব্যবসা-বাণিজ্যকে, রাজস্ব ও কর ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু বিধি-বিধানের উপর প্রতিষ্ঠা করা হবে। শতভাগ মানুষের সার্র্বিক কল্যাণে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা অবলম্বন করে এগোতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রিপরিষদ, জাতীয় সংসদ ইত্যাদিকে এমন রূপ দিতে হবে যাতে এগুলো দ্বারা শতভাগ লোকের উপকার হয়। প্রশাসনব্যবস্থা আইন-কানুন ও বিচারব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বরাষ্ট্র নীতি, পররাষ্ট্র নীতি, প্রতিরক্ষা নীতি ইত্যাদি সব কিছুকেই শতভাগ মানুষের কল্যাণে ভেঙে নতুন করে গঠন করতে হবে। সকলেরই মন-মানসিকতা উন্নত করতে হবে। (‘গণতন্ত্র ও নয়া গণতন্ত্র’ বইতে এবং ‘আটাশ দফা : আমাদের মুক্তি ও উন্নতির কর্মসুচি’ পুস্তিকায় আমি বাংলাদেশের জন্য নয়া গণতন্ত্রের রূপ ও প্রকৃতি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছি।) পৃথিবীর সব দেশে নয়া গণতন্ত্রের ধারণা ছড়িয়ে দিতে হবে। দরকার পৃথিবীর দেশে দেশে নয়া গণতান্ত্রিক জাতি রাষ্ট্রের গঠনের ও নতুন বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক আন্দোলন।

বিশ্বায়নের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে বিশ্বব্যবস্থা কায়েম করা হচ্ছে, তা সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থারই উচ্চতর পর্যায়। আধিপত্য ও নির্ভরশীলতা নীতি, লগ্নি পুঁজি, কূটনীতি, গোয়েন্দানীতি, বাণিজ্যনীতি, যুদ্ধনীতি ইত্যাদি অবলম্বন করে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে বিশ্বায়নের বা এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার কর্মনীতি (polic)। যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালনায় জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, ন্যাটো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা কাজ করছে বিশ্বায়নের কর্তৃপক্ষ রূপে। আমরা এই বিশ্বায়নের জায়গায় চাই আন্তর্জাতিক (Federal) বিশ্বরাষ্ট্র। বর্তমান ঐতিহাসিক পর্যায়ে পৃথিবীর সর্বত্র নয়া গণতান্ত্রিক জাতিরাষ্ট্র ও তার সম্পূরক আন্তর্জাতিক (Federal) বিশ্বরাষ্ট্র আমাদের কাম্য। বিশ্ব সরকার হবে জাতীয় সরকারের ঊর্ধ্বতন এক সরকার। বিশ্বরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জাতি রাষ্ট্র, জাতীয় রাজনীতি, জাতীয় অর্থনীতি ও জাতীয় সংষ্কৃতি বিকাশশীল থাকবে। জাতীয় সরকারের কিছু ক্ষমতা চলে যাবে বিশ্ব সরকারের হাতে। জাতি রাষ্ট্রের ও জাতীয় সরকারের কোনো সেনাবাহিনী থাকবে না, কেবল বিশ্ব সরকারের থাকবে একটি সেনাবাহিনী। বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ন্যাটো বাহিনী ও আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী আছে। 

আমাদের প্রস্তাবিত ব্যবস্থায়, অস্ত্রের আয়োজন ও যুদ্ধের সম্ভাবনা তিরোহিত হবে। সভ্যতা, সংস্কৃতি ও প্রগতির চেতনা হবে ব্যক্তি, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্র ও বিশ্বব্যবস্থার চালক শক্তি। এখানে ক্ষুদ্র পরিসরে নয়া গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকারের ও অভিষ্ট বিশ্বসরকারের রূপ ও প্রকৃতি বর্ণনা করা সম্ভব নয়। 

নতুন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানবজাতি এমন এক উন্নত অবস্থার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে যে, উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাওয়া-পরার ও সম্মানজনক জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা বিধান সম্ভব। বাস্তবে যে রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা আমরা চাই, তাকে প্রথমে ব্লুপ্রিন্টের মতো কল্পনায় তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কল্পনার অবলম্বন হবে রঙ-রেখার বদলে ভাষা। নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার রূপ ও প্রকৃতি প্রথমে গভীরভাবে উপলদ্ধি করতে হবে, তারপর ভাষার মাধ্যমে লিখে স্পষ্ট করে তুলতে হবে। 

জাতিসংঘকে বিশ্বসরকারে রূপান্তরিত করা গেলে ভালো হত। কিন্তু জাতিসংঘ হয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের সংঘে। 

লেখক : শিক্ষাবিদ, আহমদ শরীফ চেয়ার অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //