বাড়ছে করোনার প্রকোপ

কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

দেশে নতুন করে আবার করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ সাপ্তাহিক হিসাব বলছে, বিশ্বে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। চলতি বছরের ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচে এবং টানা প্রায় ২০ দিন এ রোগে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য।

কিন্তু বর্তমানে শনাক্তের হার বেড়ে দুই হাজার অতিক্রম করেছে। বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেকের উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা করাচ্ছেন না। মৃত্যুও বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই সামাজিক সংক্রমণ শুরু হবে। যাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার চতুর্থ ঢেউ বলে আখ্যায়িত করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

করোনার উপযুক্ত প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি আজও। তাই টিকা গ্রহণকেই একমাত্র অবলম্বন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনো সব নারী-পুরুষকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা যায়নি। তাই যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। ফলে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা, এমনকি বুস্টার ডোজ নিয়েও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। কাজেই সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অনেক দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পার হওয়ার পর চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে যারা অত্যন্ত ঝুঁকিতে আছেন, বিশেষ করে প্রবীণ ও বৃদ্ধ মানুষ, তাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনার জন্য নতুন করে উদ্যোগ নিতে হবে। 

বেশ কিছুদিন ধরে মাস্ক পরিধানের ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। মার্কেটগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যেভাবে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।

বিগত বছরগুলোতে করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি উঠে দাঁড়ানোর সময় পায়নি এখনো। এ রকম পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষসহ দেশের সব ধরনের উদ্যোক্তা যাতে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেজন্য আগে থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনার তাণ্ডবে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এখনো ১২ বছরের নিচের শিশুরা টিকা পায়নি।

এ অবস্থায় করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপাশি টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ঢাকার তুলনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা গ্রহণের হার অনেক কম। এই দিকটিতে বাড়তি নজর দিতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //