গণতন্ত্র মঞ্চ ভাঙায় লাভ-ক্ষতি কার

সাত দল ও সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সরকারবিরোধী জোট গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ। সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে আলোচিত নুরুল হক নুর এবং রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে এই দলটি গঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে এবং গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত হয় গণতন্ত্র মঞ্চ। আর জোট গঠনের ৯ মাসের মাথায় গত ৬ মে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যায় গণ অধিকার পরিষদ।

যে সাতটি দল ও সংগঠন মিলে এই মঞ্চ হয়েছিল, এটিকে শক্তিশালী জোট বলবার কোনো সুযোগ নেই। তারা নিজেদের সরকারবিরোধী জোট হিসেবে দাবি করলেও আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী ও বৃহৎ দলের বিরুদ্ধে রাজপথে এবং ভোটের মাঠে তারা কী করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ আছে। প্রথমত তাদের শক্তি এবং দ্বিতীয়ত নিজেদের মধ্যে সংশয় ও অনৈক্য, যে সংশয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল জোট গঠনকালেই। 

স্মরণ করা যেতে পারে, জোট গঠনের আগে গত বছরের ২ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে জোটের শরিক নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছিলেন, ‘মানুষের এখন এমন অবস্থা তারা আওয়ামী লীগকেও বিশ্বাস করে না। একটা পরিবর্তন চাই এবং মানুষকে সেটি বোঝাতে হবে। এই পরিবর্তন শুধু সরকারের না, রাষ্ট্রব্যবস্থারও পরিবর্তন।’ কিন্তু জোটের আরেক শরিক গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া তখন বলেছিলেন, তারা বিএনপির ডাকের অপেক্ষায় আছেন। 

দেখা যাচ্ছে, এখানে জনাব মান্না ও রেজা কিবরিয়ার বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য ঢের। জোটের আরেক শরিক নাগরিক সংহতির প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেছিলেন, তারা সরকার পতন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করবেন। যদিও তিনিও আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই মনে করেন। তার মানে শুরু থেকেই জোটের শরিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএপি ইস্যুতে অবস্থান ধোঁয়াশা। সম্ভবত এই ধোঁয়াশা ও কনফিউশনের আনুষ্ঠানিক বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণ অধিকার পরিষদের বেরিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।

প্রশ্ন হলো, ঠিক কী কারণে জোট থেকে বেরিয়ে গেল গণ অধিকার পরিষদ এবং এর ফলে কার লাভ, কার ক্ষতি? 

দলেরে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম ছিল না। তবে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এলেও মানুষ ও ভোটের অধিকারের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন তারা। সরকার পতনের আন্দোলন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ‘জিরো’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সাংগঠনিক কাজ এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। অবৈধ সরকারকে সরাতে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেক বাড়াতে হবে। 

গণতন্ত্র মঞ্চের কতটুকু সাংগঠনিক শক্তি আছে, সেটা আপনারাই যাচাই করেন। অবশ্য আমরা আগে থেকেই জানতাম তাদের শক্তি সম্পর্কে। তাদের মাঝে কিছু ভালো লোক আছে। এটা আমরা অস্বীকার করি না।’ রেজা কিবরিয়া এও বলেছেন যে, তারা ‘অনেক কষ্টে’ দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন এবং এখন সাংগঠনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তাই গণতন্ত্র মঞ্চ ছেড়েছেন। (ইত্তেফাক, ০৮ মে ২০২৩)। 

অন্যদিকে নুরুল হক নুর বলছেন, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে কিছু করার জন্যই তারা গণতন্ত্র মঞ্চ ছেড়েছেন। কারণ এই মঞ্চে থেকে চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না। তবে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেলেও বাকি ছয়টি দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হবে না বলে দাবি করেন নুর। বলেন, তারা সরকার পতনে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চান। (সমকাল, ১০ মে ২০২৩)।

এবার এই দুই নেতার বক্তব্যের কয়েকটা পয়েন্টে নজর দেওয়া যাক।

রেজা কিবরিয়া বলছেন, ১. সাংগঠনিক কাজ এখন তাদের মূল লক্ষ্য। প্রশ্ন হলো, গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে থেকে তারা কি সাংগঠনিক কাজ করেননি? ২. তিনি বলেছেন, দলের সাংগঠনিক শক্তি অনেক বাড়াতে হবে। তার মানে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে থেকে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো সম্ভব নয়? ৩. তিনি বলেছেন, তারা ‘অনেক কষ্টে’ দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। প্রশ্ন হলো নিবন্ধনের আবেদন করতে ‘অনেক কষ্ট’ করতে হলো কেন? একটি দলের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, সেগুলো সম্পন্ন করতে কষ্ট হলো, নাকি নির্বাচন কমিশন যাতে তাদের আবেদন গ্রহণ করে, সেজন্য অনেক কষ্ট (তদবির) করতে হয়েছে?

নুরুল হক নুর বলছেন, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে কিছু করার জন্যই তারা গণতন্ত্র মঞ্চ ছেড়েছেন। প্রশ্ন হলো, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে তারা কী করতে চান? গণ অধিকার পরিষদ হয়তো চাইছে রাজপথে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে। গণ অধিকার পরিষদে যেহেতু অনেক তরুণ নেতাকর্মী আছেন এবং রাজপথে আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী দল এবং সরকারি বাহিনীর মোকাবিলার জন্য তারুণ্যের শক্তির বিকল্প নেই, ফলে বিএনপিও হয়তো চায়-গণ অধিকার পরিষদ তাদের সঙ্গে রাজপথে থেকে আন্দোলন করুক, যেটি হয়তো এখনই চাচ্ছে না গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য দলগুলো। সরকার পতনের আন্দোলন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে যে তাদের কথা হয়েছে, সেটি রেজা কিবরিয়াও বলছেন। এখানে দুই দুগুণে চার মেলানো অযৌক্তিক নয়। 

যদিও গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম মনে করেন, বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে বিভক্তির যে চেষ্টা সরকার চালাচ্ছে, গণ অধিকার পরিষদের সিদ্ধান্ত সেটিকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, গণ অধিকার পরিষদের এ সিদ্ধান্ত মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এতে সরকারবিরোধী আন্দোলনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (প্রথম আলো, ০৬ মে ২০২৩)। এখানে জনাব কাইয়ুমের কথায় মনে হতে পারে যে, গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণ অধিকার পরিষদের বেরিয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের ইন্ধন রয়েছে। 

কেউ কেউ এখানে দুই দুগুণে চার মেলানোর জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগেই নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি সামনে আনতে পারেন। কেননা জোট থেকে গণ অধিকার পরিষদের বেরিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে গত ২৭ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নুরের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে না নিয়ে খারিজ করে দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, এমন অভিযোগে ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছিল নুরের বিরুদ্ধে। 

কেউ কেউ মনে করছেন, ইসিতে নিবন্ধন পেতে, অর্থাৎ সরকার ও সরকারি দল যাতে নিবন্ধনের বিরোধিতা না করে, সেজন্য জোট থেকে বেরিয়ে গেছে গণ অধিকার পরিষদ। প্রসঙ্গত, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সংস্কারপন্থি নেতাকর্মীদের দল বলে পরিচিত এবি পার্টিসহ যে ১২টি নতুন দলের নাম প্রাথমিকভাবে চ‚ড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন, সেখানে গণ অধিকার পরিষদও রয়েছে। অর্থাৎ এই দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য   প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নিয়েছে ইসি। এখন এসব দলের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য মাঠপর্যায়ে তদন্ত হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে কোনগুলো নিবন্ধন পাবে। 

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ নামে পরিচিত নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে আবেদনকারী দলকে অতীতের যে কোনো একটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে অন্তত একটি আসন পেতে হবে; অথবা যে কোনো নির্বাচনের একটিতে ৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে; অথবা দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১টি) ও ১০০ উপজেলা বা থানা পর্যায়ে দলের কমিটি ও কার্যালয় থাকতে হবে। যেহেতু গণ অধিকার পরিষদ এর আগে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি, ফলে তাদেরকে তিন নম্বর শর্ত, অর্থাৎ দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১টি) ও ১০০ উপজেলা বা থানা পর্যায়ে দলের কমিটি ও কার্যালয় থাকতে হবে, এই শর্ত মানতে হবে। 

নুরুল হক নুরের দাবি, একটি দলও যদি নিবন্ধন পায়, সেটি হবে গণ অধিকার পরিষদ। আর যদি তাদের দলকে নিবন্ধন দেওয়া না হয়, সেটি অন্যায় হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্যই এই দলের জন্ম। কাজেই প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই সেই অধিকার অর্জন করব।’ (নিউজ বাংলা, ৩০ অক্টোবর, ২০২২)। 

যে সাতটি দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ গঠন করা হয়েছিল তার মধ্যে শুধু জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। রাজপথ ও টেলিভিশনের টকশোতে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে পরিচিত ও আলোচিত জোনায়েদ সাকির দল গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধনের জন্য বছরের পর বছর নির্বাচন কমিশনে ঘুরছে। তাদের নিবন্ধনের বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। 

সম্প্রতি যে ১২টি দলকে নিবন্ধনের জন্য কমিশন প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নিয়েছে, সেখানে গণসংহতি আন্দোলন নেই। গণতন্ত্র মঞ্চের বাকি দুটি দল ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হয়নি। তবে নাগরিক ঐক্য রয়েছে।

অভিযোগ আছে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পাওয়া ও বাতিলের ক্ষেত্রে সরকার ও সরকারি দলের প্রভাব থাকে। অর্থাৎ কোনো দলের ব্যাপারে সরকারের আপত্তি থাকলে সেই দল নিবন্ধন পায় না। সুতরাং গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণ অধিকার পরিষদের বেরিয়ে যাওয়ার পেছনে ইসিতে নিবন্ধনের সম্পর্কও হয়তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। 

কিন্তু দিন শেষে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় সেটি হলো, রাজনীতিতে এসব ছোটখাটো দল ও সংগঠনের জোটের গুরুত্ব কতখানি? সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ যেভাবে দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমর্থন পেয়েছিল, তার মূল কারণ, সেটি ছিল অরাজনৈতিক আন্দোলন। কিন্তু সেই একই নেতৃত্ব যখন রাজনৈতিক দল গঠন করল এবং রাজনৈতিক দাবিতে রাস্তায় নামবে, সেখানে কি তারা আগের মতো জনসমর্থন পাবে? সেই বাস্তবতাটি হয়তো তারাও জানে। 

সম্ভবত সে কারণেই তারা এখন দাবি আদায়ে ভোট ও মাঠের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা তথা আন্দোলনের কৌশল নিয়ে হয়তো গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য দলগুলোর সঙ্গে তাদের যে মতদ্বৈধতা সেটিরই বহিঃপ্রকাশ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া। 

পরিশেষে রাজনীতিতে জোট গঠন ও ভাঙন নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে ভোট এলেই জোট বাড়ে। 

সুতরাং নিবন্ধিত দুটি এবং অনিবন্ধিত পাঁচটি দল ও সংগঠন মিলে যে গণতন্ত্র মঞ্চ তৈরি হয়েছিল এবং এক বছর হওয়ার আগেই ভাঙন ধরল, সেটি এই রাজনীতির খেলায় কার পক্ষে গেল আর বিপক্ষে, তা বুঝতে হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে।

কেননা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরও একাধিক জোট গঠন যেমন হতে পারে, জোটের সম্প্রসারণ হতে পারে, তেমনি জোটে ভাঙনও হতে পারে। নদীর মতোই তার ভাঙাগড়ার খেলা। সেই খেলার দর্শক হচ্ছে জনগণ। যে জনগণকে বাদ দিয়েই এখন রাজনীতিবিদরা চলতে চান। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //