মার্কিন ভিসা সংক্রান্ত বিবৃতি ও আগে-পরের ঘটনাপ্রবাহ

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুরনো হয়ে গেলেও ‘টপিক’ হিসাবে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। এই নিষেধাজ্ঞা মে মাসের ৩ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও ২৩ দিন পর বাংলাদেশের মিডিয়া জেনেছে।

তবে সরকার যথাসময়েই তা জেনেছে, সেটা বোঝা যায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে। বিশাল সফরসঙ্গী নিয়ে জাপান সফরকে বলা হয়েছে ‘ফলপ্রসূ’। অথচ মিডিয়া মারফত জানা গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সরকারি কোনো ডেলিগেট দেখা করেননি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘ঠান্ডা সম্পর্ক’ বেশ আগে থেকেই। আর সেটা বাংলাদেশের অন্তঃসারশূন্য বৈদেশিক নীতির কারণেই। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার স্যাংশন জারির পর রাশিয়া বন্ধু দেশগুলোতে সস্তায় তেল-গ্যাস বিক্রি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুযোগ নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ে’! রেডিমেড পোশাকের বাজার নষ্ট হবে, রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হবে, মার্কিন লবি রুষ্ট হলে অর্থনৈতিক বিপদ বাড়বে ইত্যাদি নানা হিসাব-নিকাশ। অথচ ভারত পুরোপুরি মার্কিন লবিতে (কোয়াড) থেকেও পুরো ফায়দা নিয়েছে। বাংলাদেশের ফরেন পলিসি হলো ‘কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’। অথচ এখনকার সময়ে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ একটা অলীক ভাবনা।

যা হোক, তিনটি দেশ সফর শেষে ফিরে প্রধানমন্ত্রী যা যা বলেছেন তা নতুন কিছু নয়। সকল সফর শেষেই এ রকম বিবৃতি দেওয়া হয়। বরং নতুন ছিল এই মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যেটা তখনো সরকার খোলাসা করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ‘কাউকে ভয় পাই না, আমরা আমাদের মতো চলব’ ধরনের কথাতেই স্পষ্ট ছিল। সাংবাদিকরা ধরতে পারেননি, হঠাৎ করেই কেন সরকার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া শুরু করল। অথচ এই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ভয়েই রাশিয়ার সস্তা তেল কেনেনি! হিসাব মেলে না।

তিন দেশে সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিনে ২৯ এপ্রিল অপরাহ্ণে আমার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ স্থাপন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং কোভিড-১৯ মহামারিকালেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন।

আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সব বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মতপ্রকাশ করেন। তিনি সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেন।’

এটা খুব স্বাভাবিক। আইএমএফ বাংলাদেশকে বিরাট অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে। তারা তাদের ক্লায়েন্টকে মুখের ওপর নিন্দা করবে? যুক্তরাষ্ট্রে এরপর ‘গুরুত্বপূর্ণ’ একজনের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর দেখা হয়েছিল-US Chamber of commerce-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সুজানে পি ক্লার্কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। এছাড়া সন্ধ্যায় ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। 

এবার তিনি দেশে ফিরেই যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে ‘কাউকে ভয় পাই না’ বললেন। আরও বললেন, ‘যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে কিছু কিনবে না বাংলাদেশ।’ অথচ কয়েক দিন পরই দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ চিনি কিনতে চাইছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বেশ বিরক্ত। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে বিশেষ নিরাপত্তা না দেওয়ার বিষয়টিও চমকপ্রদ। এত দিন নির্দ্বিধায় বাংলাদেশ বিশেষ কয়েকটি দেশের দূতাবাসকর্মীদের বিশেষ নিরাপত্তা দিয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাতিল করা একটি ‘রেগুলেশন ওয়ার্ক’ প্রমাণ করতেই কিনা কে জানে আরও পাঁচটি দেশের বিশেষ নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হয়।

এর আগে জাপান সফরকালীন কথা ওঠে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ নিয়েও। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, দুই বিশ্ব পরাশক্তির দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ কেন হঠাৎ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল? এর একটি কারণ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান-সেই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ যেভাবে নানা অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেটিও।

এর মধ্যে গত ২০২১ সালে ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সেদিন ঢাকায় ক‚টনৈতিক সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের এক নিরাপত্তা জোট নিয়ে। তিনি এই জোটে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, যদি বাংলাদেশ এই জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘বড় ক্ষতি’ করবে। তিনি আরও বলেছিলেন, কোয়াড হচ্ছে ‘চীনের পুনরুত্থান ঠেকানোর এক সামরিক জোট’ এবং বাংলাদেশের উচিত হবে না, এরকম একটি ‘সংকীর্ণ লক্ষ্য’ অর্জনের চক্রে শামিল হওয়া।

চীনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ঢাকা কতটা অসন্তুষ্ট হয়েছিল, তা টের পাওয়া যায় পরের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কড়া জবাবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমরা একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করি। আমাদের দেশের এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে আমরাই সিদ্ধান্ত নেব আমরা কী করব।” বেশ জোরালো বক্তব্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আরও বলেছিলেন, “কোয়াডের সদস্য দেশগুলোর কেউই বাংলাদেশকে এই জোটে যোগ দিতে বলেনি। কাজেই চীনা রাষ্ট্রদূত যে কথা বলেছেন তা অকাল প্রসূত। চীন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এমনটি খুবই ব্যতিক্রমী একটা ঘটনা, চীনের কাছ থেকে এটা আমরা আশা করিনি।”

বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ কীভাবে জড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি এই দুই দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্কে কীরকম টানাপড়েন তৈরি করছে-তার উদাহরণ হিসেবে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করছিলেন কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, “এই কোয়াড গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সদস্য দেশগুলো বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশকে তাদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়াবার আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ চীনের দিক থেকে এ নিয়ে সতর্কবাণী পেয়েছে। কাজেই আমরা দেখতে পাচ্ছি চীন এবং চীনবিরোধী জোটের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর তার প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশকে দেশের ভেতরের এবং বাইরের নানা চাপ মোকাবিলা করে এখানে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হচ্ছে। কাজটি বেশ কঠিন।”

এবার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ অনুযায়ী জাপানের আনুকূল্য, কোয়াডে যোগ দেওয়ার অপ্রচ্ছন্ন আহ্বান, কোয়াডে যোগ দিলে চীনের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাঁচামাল পাঠানো জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ফিরিয়ে দেওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের অপ্রচ্ছন্ন সতর্কতার পরও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত, ভারতের দিক থেকে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ আচরণ সব মিলিয়ে যে চিত্রটা পাওয়া যাবে, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা তারই প্রথম পর্যায়।

এখন এ সকল আন্তর্জাতিক ঘটনার সারসংকলনে যা পাওয়া যাচ্ছে তা হলো-১. চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে চীন অনেক দেশেই প্রভাব বিস্তার করছে। তবে এর পাশাপাশি বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব যেভাবে বাড়ছিল, সেটি নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বাংলাদেশে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্বের সবচেয়ে বড় একটি উদাহরণ সম্ভবত দেশটির একটি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প।

চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ মহা-পরিকল্পনায় যে মেরিটাইম সিল্ক-রুট প্রকল্প নিয়েছে, তার অংশ হতে পারত বাংলাদেশের সোনাদিয়ায় প্রস্তাবিত একটি গভীর সমুদ্র বন্দর। “চীনকে দমন করার জন্য, চীন যেন বঙ্গোপসাগর দিয়ে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য না করতে পারে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ভারত সক্রিয় হয়ে উঠেছিল, যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে ঢুকতে না পারে।”

২. বাংলাদেশেকে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে ‘কোয়াড’-এ নাম লেখানো।

৩. ‘কোয়াডে’ অন্তর্ভুক্তির জন্য চাপে রাখার চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জরুরি বাংলাদেশে একটি ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেখা। 

এই পয়েন্টগুলো অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় ছিল। সে কারণেই গত বছর র‌্যাবের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংশন জারি করে তারা। তাদের ভাষ্যে ‘তাতেও যখন কাজ হচ্ছে না’ তখন তারা সর্বশেষ ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। এটা নিয়ে নানা মহলে নানা ধরনের কথাবার্তা চলছে। সরকার বলছে, ‘এটা বিএনপির জন্য ব্যুমেরাং হলো’। বিএনপি বলছে, ‘এটা সরকারের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েই আন্তর্জাতিক মহলের সন্দেহ প্রমাণ হলো।’ 

নিষেধাজ্ঞায় কী কী আছে

মার্কিন সেক্রেটারি এন্টনি জে ব্লিনকেনের বিবৃতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ তোলপাড় হয়েছে এবং হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই প্লানেটের সবচেয়ে ‘যুদ্ধবাজ’ দেশটির নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৫-৪৬ সাল থেকে ২০২৩ অবধি বিশ্বের অন্তত ৭০টি দেশে ৮১ বার সরাসরি সৈন্য পাঠিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে তারা। যাতে নিহত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। 

কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা অন্য দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ইত্যাকার বিষয়ে তাদের মতামত রাখতে পারবে না। মার্কিনিরা যেমন বিশ্বময় যুদ্ধ পরিচালনা করে, অস্ত্র বিক্রি করে, তেমনি তাদের দেশের জনগণই এসব হামলা এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। এটাই গণতন্ত্র। তাদের দেশে মহাশক্তিশালী প্রেসিডেন্টকেও ট্যাক্সদাতারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন, যা আমাদের দেশে স্বপ্নেও ভাবা যায় না। তাই বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বের যে কোনো দেশ প্রশ্ন তুলতেই পারে। এমনকি সেসব দেশও, যাদের দেশে কখনো নির্বাচন হয় না! কেননা বিষয়টা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য। 

সাংবাদিক

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //