দুর্ভোগের শিকার নারী ও মেয়েরা – ইউনিসেফ রিপোর্ট

১৮০ কোটি মানুষের গৃহে নেই পানির সংস্থান, ৪.৫ মিলিয়ন সঠিক স্যানিটেশন বঞ্চিত

সাসটেইনেবল ডেভলোপমেন্ট গোল (এসডিজি) ছয়টি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যাতে করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এগুলো অর্জনে সফলতার মুখ দেখে বিশ্বাবাসী। বিশেষত নিরাপদ খাবার পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যগত সঠিক ব্যবস্থাপনা,জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের ব্যবস্থাসহ আরও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বাস্তবায়নে মূলত এসডিজি কাজ করে যাচ্ছে। আর এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্বের নানা সংস্থা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন(ওয়াশ), ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ। 

একটি যৌথ মনিটরিং ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে নিরাপদ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করছে ইউনিসেফ ও  ডব্লিউএইচও। 

সম্প্রতি “পরিবারের খাবার পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) বিষয়ক ২০০০-২০২২ পর্যন্ত অগ্রগতি: লিঙ্গভিত্তিক বিশেষ দৃষ্টি’ [প্রোগ্রেস অন হাউসহোল্ড ড্রিংকিং ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন (ওয়াশ) ২০০০-২০২২: স্পেশাল ফোকাস অন জেন্ডার] শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে ‘ওয়াশ’ পরিষেবায় লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়ে প্রথমবারের মতো তাদের একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, নারী ও মেয়েরা বাড়ির বাইরে টয়লেট ব্যবহারের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির ঘাটতির প্রভাব ও বৈষম্য অনুভব করে থাকেন। 

 ওই প্রতিবেদনে ২০০০-২০২২ পর্যন্ত জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, এসডিজি ৫ এর মূল লক্ষ্য এ সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার বৈষম্য দূর করাও অন্যতম এক চ্যালেঞ্জ। 

সম্প্রতি ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচও প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী নিজের পরিবারের জন্য পানি সংগ্রহের কাজটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই করে থাকেন, যেখানে এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং প্রতিদিন এই কাজের পেছনেই তাদের অনেক সময় ব্যয় হয়।

এ বিষয়ে ইউনিসেফের ‘ওয়াশ’ ও ‘সীড’ বিষয়ক পরিচালক সিসিলিয়া শার্প বলেন, "পানি সংগ্রহের জন্য একটি মেয়ের একটি করে ধাপ এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো পড়াশোনা, খেলাধুলা ও নিরাপত্তা থেকে তার একটি ধাপ করে  দূরে সরে যাওয়া। অনিরাপদ পানি, অনিরাপদ টয়লেট ও বাড়িতে হাত ধোয়ার অনিরাপদ ব্যবস্থা মেয়েদের কাছ থেকে তাদের সম্ভাবনা কেড়ে নেয়, তাদের সার্বিক কল্যাণকে ঝুঁকিতে ফেলে এবং দারিদ্র্যের চক্রকে স্থায়ী করে। ‘ওয়াশ’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মেয়েদের চাহিদার প্রতি সাড়া প্রদানের বিষয়টি সর্বজনীন পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা নিশ্চিত করা এবং লিঙ্গ সমতা ও ক্ষমতায়ন অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"

রিপোর্টে দেখা যায়, ২০০০-২০২২ এর মধ্যে বিশ্বের মাত্র ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি পানের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে প্রতি চার জনে একজন নিরাপদ পানি পাচ্ছেন। আর এ সংখ্যা ১ দশমিক ২ বিলিয়ন থেকে কমে ৭০৩ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আর যারা এই সুবিধা পাচ্ছেন তাদের বড় একটি অংশ বাস করছেন শহর অঞ্চলে। অন্যদিকে ৭০৪ মিলিয়ন লোকের বাস পল্লী এলাকায় যারা কিনা এ সুবিধা পুরপুরি পাচ্ছেন না। 

২০১৫ –২০২২ পর্যন্ত অঞ্চলভেদে নিরাপদ পানির সরবরাহের যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়, সাব সাহারা অঞ্চলে (২০১৫- ২৭%,২০২২- ৩১ %), মধ্য -দক্ষিণ এশিয়া (২০১৫-৬০%, ২০২২-৬৮ %), পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে (২০১৫- ৭৪%,২০২২- ৭৯ %),উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকা (২০১৫- ৭৪%,২০২২- ৭৭%), ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে (২০১৫- ৭৫%,২০২২- ৭৫ %), ইউরোপ ও নর্দান আমেরিকা (২০১৫- ৯৫%,২০২২-৯৪ %)। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওশানিয়া অঞ্চলে মৌলিক পানির চাহিদা মেটাতেই বেশ কথিন হয়ে পড়েছে। পক্ষান্তরে অনুন্নত, ক্ষুদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছেন গরে ৩০-৩৫ শতাংশ। 

ফলে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটি মানুষ এমন ঘরবাড়িতে বসবাস করে যেখানে বাসগৃহে পানির সংস্থান নেই। এমন প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে ৭ টিতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও মেয়েরা প্রাথমিকভাবে পানি সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করেন। আর প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে ৩টিতে তাদের সমবয়সী পুরুষ ও ছেলেদের এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েরা (৭ শতাংশ) ১৫ বছরের কম বয়সী ছেলেদের (৪ শতাংশ) তুলনায় পানি সংগ্রহের দায়িত্ব বেশি পালন করে থাকেন। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদেরকে পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ায় পড়াশোনা, কাজ ও অবসর যাপনের সময় কমে আসার পাশাপাশি নানা শারীরিক আঘাত ও বিপদের ঝুঁকি বাড়ছে। 

অন্যদিকে ২০২২ এর পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের আওতায় রয়েছে। ১৩৫ টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এমন তথ্য ওঠে এসেছে। 

আর এ তালিকায় ২০১৫ –২০২২ পর্যন্ত অঞ্চলভেদে নিরাপদ দেখা যায়, সাব সাহারা অঞ্চলে (২০১৫-২২%,২০২২-২৪%), মধ্য -দক্ষিণ এশিয়া (২০১৫-৩৮%, ২০২২-৫১%), পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে (২০১৫- ৫২%,২০২২- ৬৪%),উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকা (২০১৫- ৫৬%,২০২২- ৬৪%), ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে (২০১৫- ৪২%,২০২২- ৪৯%), ইউরোপ ও নর্দান আমেরিকা (২০১৫- ৮৩%,২০২২-৮৪%), অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড অঞ্চলে  (২০১৫- ৯৫%,২০২২-৯৫%)। অন্যদিকে ওশানিয়া অঞ্চলে মৌলিক স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতেই হিমশিম খাচ্ছেন এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠী। এখানে ২০১৫ সালে ৩৫শতাংশ ছিল মৌলিক স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, যা কমে ২০২২ এ দাঁড়িয়েছে ৩২ শতাংশ। পক্ষান্তরে অনুন্নত, ক্ষুদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এমন ব্যবস্থা ভোগ করছেন ৩০-৩৫ শতাংশ মাত্র। 

এরপরেই, ৮৪ টি দেশের প্রাপ্ত তথ্য হতে দেখা যায়, বিশ্বের ৬০০ কোটি মানুষ সাবান -পানি দিয়ে হাত ধোঁয়ার মত নূন্যতম স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে ১৭ শতাংশ (১ দশমিক ৪ বিলিয়ন) মানুষ এটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর ৮ শতাংশ (৬৪০ মিলিয়ন) জনগোষ্ঠীর কাছে হাত ধোঁয়ার মত কোনোরকমের ব্যবস্থাই নেই। 

আর এই সুবিধার আওতায় পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠী ২০১৫ সালের চেয়ে ভাল অবস্থানে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে এখানকার ৯৩ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যগত এ সুবিধাটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আর ২৩ শতাংশ নিয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ।  

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে যে, ৫০ কোটির বেশি মানুষ এখনও অন্য পরিবারের সঙ্গে স্যানিটেশন সুবিধা ভাগা করে থাকছেন। যা নারী ও মেয়েদের গোপনীয়তা, মর্যাদা এবং নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, ২২টি দেশে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, যেসব পরিবার নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে টয়লেট ব্যবহার করে সেসব পরিবারের নারী ও মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতের বেলায় একা হাঁটাচলা করতে পুরুষ ও ছেলেদের তুলনায় অনিরাপদ বোধ করে এবং যৌন হয়রানি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। 

এ ছাড়াও অপর্যাপ্ত ‘ওয়াশ’ পরিষেবা নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানর সঙ্গে নিরাপদে ও ব্যক্তিগত মাসিক ব্যবস্থাপনার সামর্থ্যকে সীমিত করে তুলছে। উপাত্তে এমন ৫৩টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের নারী ও কিশোরী এবং যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা ও পোশাক বদলের জন্য ব্যক্তিগত পর্যাপ্ত গোপন স্থানের অভাব। আর এমন অবস্থার শিকার হচ্ছেন ২ বিলিয়ন নারী ও কিশোরী।  

ডব্লিউএইচওর পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ড. মারিয়া নেইরা বলছেন, "ডব্লিউএইচওর সাম্প্রতিক তথ্য একটি কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরে: অপর্যাপ্ত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির কারণে প্রতি বছর ১৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। নারী ও মেয়েরা ডায়রিয়া ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো শুধুমাত্র ‘ওয়াশ’ সম্পর্কিত সংক্রামক রোগের সম্মুখীন হয় না, তারা এর বাইরেও বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হয়, কারণ যখন পানি সংগ্রহ বা শুধুমাত্র টয়লেট ব্যবহার করার জন্য তাদের বাড়ির বাইরে যেতে হয় তখন তারা হয়রানি, সহিংসতা ও আঘাতের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।"

অন্যদিকে ২০২২ সালের তথ্যে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধা পেয়ে আসছেন। যার মধ্যে অঞ্চলভেদে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ৯৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী এই সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের ৩১ শতাংশ মানুষ এ আওতার বাইরে রয়েছেন। 

প্রতিবেদনে উঠে আসা বিষয়গুলোয় দেখা যাচ্ছে,স্বাস্থ্যবিধির অভাবও অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নারী ও মেয়েদের জন্য  ক্ষতিকর। এমনকি অনেক দেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবার রান্না করা সহ অসুস্থদের দেখাশোনার পাশাপাশি ঘরের কাজ ও অন্যদের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নারী ও মেয়েরাই দায়বদ্ধ থাকে। 

এটি অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। হাত ধোঁয়াজনিত সুরক্ষার অভাবও তাদেরকে অন্যান্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মুখে ফেলে। 

বর্তমানে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ বা প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের জন্য নিরাপদে খাবার পানির অভাব রয়েছে এবং ৩৪০ কোটি মানুষ বা প্রতি ৫ জনের মধ্যে ২ জনের নিরাপদ স্যানিটেশন কোন ব্যবস্থাপনা নেই। আর প্রায় ২ কোটি মানুষ বা প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন বাড়িতে সাবান ও পানি দিয়ে তাদের হাত পরিষ্কার করতে পারে না।

তবে প্রতিবেদনে সবার জন্য ‘ওয়াশ’ পরিষেবা নিশ্চিত করার প্রতি কিছু অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে পরিবারগুলোর নিরাপদ খাবার পানি প্রাপ্তির হার ৬৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে; আর নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার হার ৪৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে; এবং মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি সেবা ৬৭ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদে খাবার পানি, স্যানিটেশন ও মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা নিশ্চিত করার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নিরাপদ পানি সংগ্রহের ক্ষেত্রে অগ্রগতির বর্তমান হার ছয়গুণ, নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অগ্রগতির হার পাঁচগুণ, এবং মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রগতির হার তিনগুণ বাড়ানোর প্রয়োজন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে বাংলাদেশে পানি সংগ্রহের ক্ষেত্রে নারীদের দায়বদ্ধতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। আর নতুন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, নারী ও মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় পরিবারের জন্য পানি সংগ্রহ করতে দশগুণ বেশি সময় ব্যয় করে থাকেন।

সবকিছুর পর একটি নিরাপদ ও সুস্থ্য বিশ্ব গড়ে তুলতে নিরাপদ খাবার পানি, পর্যাপ্ত সঠিক স্যানিটেশন ও অন্যান্য হাইজিন সংক্রান্ত বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া এখন সময়ের দাবি। কেননা, জনগোষ্ঠী সুস্থ না থাকলে বিশ্ব হয়ে পড়বে অসুস্থ। গুটিকয়েক উন্নত রাষ্ট্র ও অঞ্চল ছাড়া সিংহভাগ এখনও অবহেলিত হয়ে আছে। এসডিজির পুর্ন সফলতা নির্ভর করে গৃহীত এজেন্ডাগুলোর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি আদর্শ বাসযোগ্য পৃথিবী বিনির্মাণ করা।  

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //