২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু বছরের শুরুতেই এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে নানা সংশয় দেখা যাচ্ছে। কারণ এ বছর এখনো শুরুই হয়নি পাঠ্য বই ছাপানোর কাজ। এমনকি শেষ হয়নি সব শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি ও দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া। অথচ দরপত্র অনুযায়ী, এসব বই ছাপার জন্য অন্তত ৫০ দিন সময় প্রয়োজন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এনে গত বছর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার যা আবার আগের অবস্থায় ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই বাস্তবতায় এবার স্কুল-মাদ্রাসা-কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০ কোটি বই ছাপানোর কথা রয়েছে। যেসব বই ছাপানো হচ্ছে তাতে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও এর গ্রাফিতি, একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, অথচ এতদিন তাদের অবদানকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, সেসব বিষয় নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা বেশ সময়সাধ্য। এ রকম একটা অবস্থায় বছরের শুরুতেই ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল। এটি পরিণত হয়ে উঠেছিল শিশুদের জন্য একটি উৎসবের দিন হিসেবে। আমরা আশা করি, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তাই এ মুহূর্তে প্রয়োজন দরপত্র সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা। তবে মুদ্রণ প্রমাদ ও তথ্যগত ভুলভ্রান্তি যেন না থাকে, সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh