ডিসেম্বরের আগে থেকেই আশ্চর্যজনকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদকে অপসারণের আহ্বান জানানো হচ্ছিল। এটা মোটেও বিপ্লব ছিল না এবং কখনই সিরিয়ান জনগণের কথা ভেবে সংগঠিত হয়নি। যেকোনো ধরনের বিপ্লব তার নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং নাগরিক ও অন্যদের স্বার্থে গড়ে ওঠার কথা। এখানে তেমনটা হয়নি।
২৭ নভেম্বর সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তুর্কি-সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) আলেপ্পোতে আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে। খুব দ্রুত তারা একটার পর একটা শহর দখল করে নেয়। তিন দিন পরে সরকারি সিরিয়ান সেনাবাহিনী কৌশলগত শহর হামা ত্যাগ করে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে নিষ্ক্রিয় বিদ্রোহীরাও উঠে এসে আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানে। বিরোধী বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে দামেস্কে হামলা চালায়। বাশার আল-আসাদ, যার শাসনামল এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধ সহ্য করে আসছিল, অবশেষে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
অনেকটা তিন বছর আগের আফগানিস্তানের মতোই। যখন আশরাফ ঘানির মার্কিন-সমর্থিত সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু আসাদ ঘানির মতো দুর্বল ছিলেন না। তার আকস্মিক পতন তাই বিস্ময়কর।
সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে পচন ধরেছিল- এটা ঠিক। দেশটিতে মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট চরমে উঠেছিল। প্রায় ৯০ শতাংশ সিরিয়ান দারিদ্র্য ও অপুষ্টিতে বসবাস করছিল। খাদ্য কেনার জন্য ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে পারত না। বিদ্যুৎবিভ্রাট রাজধানী দামেস্ককেও পঙ্গু করে দেয়, কখনো কখনো রাজধানীতে দিনে ২০ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল।
আসাদ সরকার এর সমাধান দিতে পারেনি, তার বদলে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। নিষ্পেষণ- নিষেধাজ্ঞা, বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকা এবং মার্কিন-কুর্দি নিয়ন্ত্রণের তেলক্ষেত্রগুলো ও বাণিজ্য বলতে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। আসাদের কম বেতনের দুর্বল সেনাবাহিনী বছরের পর বছর গৃহযুদ্ধের কারণে ছত্রভঙ্গ হওয়ার দশায় পড়েছিল। তারপর ভেঙে যেতে থাকে। হিজবুল্লাহর মতো ইরানি প্রক্সিরা তার বাহিনীকে সাহায্য করেছিল, কিন্তু এ বছর তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে মনোযোগ সরিয়ে নেয়। এর মধ্যে ২০২১ সালের মতো আবার রাশিয়াকেও টেনে আনতে ব্যর্থ হন আসাদ। কারণ রাশিয়া ইউক্রেন থেকে মনোযোগ সরাতে চাইছিল না। তাই চূড়ান্ত সংকটের সময় দেখা গেল আসাদ একা হয়ে পড়েছেন। তার মিত্ররা কেউ তার পাশে নেই।
কেন এত দ্রুত সিরিয়ার পতন হলো?
হামাসের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর সম্পূর্ণ পরাজয়ের পরে আন্তর্জাতিক মঞ্চের ‘অভিনেতারা’ সিরিয়ার দিকে ফোকাস দিয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধের অক্ষ’র সর্বশেষ শক্তি সিরিয়া, যেটি দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে ইরানি নীতির ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করেছিল, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপের মুখেও নতি স্বীকার করেনি।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী থেকে সিরিয়া ও লেবানন পর্যন্ত প্রতিরোধের অক্ষের মূল শক্তিগুলোকে দুর্বল করা সম্পন্ন হলো। এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, পরিকল্পনার পরবর্তী লক্ষ্য কে হবে? এই অঞ্চলের ভাগ্য, সেই সঙ্গে এই উন্নয়নে বহিরাগত শক্তির ভূমিকা কেমন হবে? তবে একটি বিষয় পরিষ্কার- মধ্যপ্রাচ্য আর কখনো আগের মতো হবে না।
৭ ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যেই শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সিরিয়ার সৈন্যরা বেসামরিক পোশাক পরে পালিয়েছে। রাত নাগাদ দামেস্কের রাস্তাগুলো সামরিক সৈন্যহীন ও জনশূন্য হয়ে পড়ে। ভীত নাগরিকরা খাদ্য মজুদ করতে এবং তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে শহরের দক্ষিণ অংশে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য! সেখানে বিদ্রোহীদের ‘মুক্তিদাতা’ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছিল। জনতা জড়ো হয়ে, পতাকা নেড়ে এবং আসাদের বাবার মূর্তি ভেঙে উল্লাসে মেতে উঠেছিল।
এই নাটকীয় ঘটনার মধ্যে সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি জরুরি ঘোষণা দিয়ে সরকারের আত্মসমর্পণ ঘোষণা করেন এবং দেশটির নতুন নেতৃত্বকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে এটি যে শুধু অভ্যন্তরীণ কারণে ছিল না তা এখন পরিষ্কার। সিরিয়া ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আগেই যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল, যেখানে বাইরের শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংকটকে কাজে লাগিয়েছে। সিরিয়ার মাটিতে বিদেশি খেলোয়াড়দের সরাসরি জড়িত থাকাকে যদিও পশ্চিমারা অস্বীকার করে, তার পরও এটাই নির্জলা সত্য।
বছরের পর বছর ধরে বাশার আল-আসাদকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তার অভ্যন্তরীণ স্টাবলিশমেন্টে দুর্নীতি, আন্তর্জাতিক চাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ দেশ ও আসাদ উভয়কেই দিনের পর দিন ক্ষতবিক্ষত করেছে।
কারা এখন ফায়দা লুটবে?
দামেস্কের পতন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি টার্নিং পয়েন্ট, যা শুধু আসাদের শাসনের পতনেরই ইঙ্গিত দেয়নি, বরং ইরানের উল্লেখযোগ্য দুর্বলতারও ইঙ্গিত দেয়, সিরিয়ার সঙ্গে জোট গড়ে তেহরান সিরিয়াকে লেবানন, ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোকে ঘিরে প্রতিরোধের অক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক গড়ে তুলতে পেরেছিল। সিরিয়া হিজবুল্লাহকে সশস্ত্র করার এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় ধরনের সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করেছে। সিরিয়ার পতন এবং পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এই সরবরাহ চেইনগুলোকে ভেঙে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে ইসরায়েল গোলান হাইটসের বাফার জোনে সেনা মোতায়েন করেছে। তারপর নৃশংসভাবে আক্রমণ করে একটার পর একটা সিরিয়ান ভূখণ্ড দখলে নিচ্ছে। এটা শুধু ইসরায়েলের কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করেনি, বরং ইরানকে এই অঞ্চলে কার্যকরভাবে প্রতিহত করার ক্ষমতা থেকেও রোহিত করেছে।
এখন সিরিয়ার আকাশে নিয়মিত ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের ওড়াউড়ি দেখে হয়তো ইরান বুঝতে পারছে; তাদের আরো আগেই অ্যাক্টিভ হতে হতো। আসাদের ওপর দায় না চাপিয়ে নিজেদের প্রয়োজনেই আসাদকে শক্তিশালী করতে হতো। তা যখন পারেনি, এখন ইরান দেখছে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি তাদের জন্য শুধু বৈদেশিক নীতির বিপর্যয়ই নয়, বরং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ইরানি সমাজের মধ্যে বিভাজনকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কট্টরপন্থি প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি থেকে তার পুত্র মোজতবা খামেনির কাছে প্রত্যাশিত ক্ষমতার স্থানান্তরের কারণে এই বিভাজন আরো তীব্র হয়েছে। এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে যে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র অভ্যন্তরীণ ফাটলের সম্মুখীন হতে পারে! বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জাতিগত উপদলের মধ্যে প্রকাশ্য সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।
আসাদকে হটানোর হামলা কেবল সিরিয়া বা ইরানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটা মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার স্বার্থকেও লক্ষ্য করে। ওয়াশিংটন ও লন্ডনের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো গত এক দশকে এই অঞ্চলে মস্কোর ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আসাদের প্রধান মিত্র হিসেবে কাজ করা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে রাশিয়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।
ওয়াশিংটন, লন্ডন এবং তাদের মিত্ররা শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য লড়াই করছে না; তারা বৈশ্বিক মঞ্চে তাদের আধিপত্যকে মজবুত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থনসহ যেকোনো উপায় ব্যবহার করতে পারে এবং করেছেও।
পশ্চিমাদের উল্লাস
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের ওয়েবসাইটও এইচটিএস-কে বলছে, ‘মাঝে মাঝে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে; যার মধ্যে হয়রানি, গুপ্তহত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটক রাখা এবং আত্মঘাতী বোমা হামলা, জিম্মি করা, চাঁদাবাজি ও হত্যা করে, কিন্তু তাই বলে তারা আসাদ নয়, তাই না?’
যদিও এই এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি এখনো ওয়াশিংটনের ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারঘোষিত ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী এবং জাতিসংঘের ওয়াচে রয়েছে ২০১৩ সাল থেকে নিষিদ্ধ আইএসআইএসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সন্ত্রাস করার জন্য। কিন্তু এখন তিনি পশ্চিমের কাছে সহনীয় হয়ে উঠেছেন। ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী আসাদের পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইইউয়ের ওয়েবসাইটে সাদামাটা ভাষায় বলেছে, ‘এইচটিএসের উদ্দেশ্য হলো আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ায় ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এখন তারা যে সঠিক জিনিস সম্পর্কে সতর্ক করেছিল সে সম্পর্কে তারা আনন্দিত।’
মার্কিন দ্বিচারিতা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, বাশার আল-আসাদের পতনের পর তার দেশ এবং দামেস্কের মধ্যে ১৯৭৪ সালের বাহিনী বিচ্ছেদ চুক্তি আর ‘বৈধ’ নয়। এই চুক্তি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়, গোলান হাইটসের বাফার জোনে সামরিক মোতায়েন নিষিদ্ধ করেছিল, একটি অঞ্চল যা আইনত সিরিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত, কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে ইহুদি রাষ্ট্র দখল করে রেখেছে।
নেতানিয়াহুর যুক্তি- যেহেতু সিরিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার আসাদের চলে যাওয়ার পরে আর বিদ্যমান নেই, তাই তিনি দামেস্কের সঙ্গে পূর্বের চুক্তিগুলোকে আর বিবেচনা করেন না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও ইসরায়েলের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে। ওয়াশিংটন তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রকে সমর্থন করতে আগ্রহী। তার কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর জন্য তাদের কোনো জবরদখলকেও জুলুম মনে হচ্ছে না।
এখানেই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। ২০১৪ সালে যখন ইউক্রেনের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে পশ্চিমা শক্তি-সমর্থিত সহিংস অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, তখন রাশিয়া অনুরূপ আইনি অবস্থান নিয়েছিল। মস্কো যুক্তি দিয়েছিল কিয়েভের বৈধ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ক্রিমিয়ায় একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং তারা রাশিয়ার সঙ্গে পুনরায় একত্রিত হয়। এর পরপরই ডনবাসের পূর্ব অঞ্চলগুলো স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিল।
অথচ সে সময় ওয়াশিংটন তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানিয়ে ঘোষণা করেছিল, ‘অভ্যুত্থান সত্ত্বেও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানা অক্ষত রয়েছে, সব প্রাক-বিদ্যমান চুক্তি এখনো বিদ্যমান এবং মস্কোর দখল অবৈধ ও সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণ।’ এবার প্রায় একই রকম আইনি যুক্তির অধীনে ইসরায়েলের সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলের বিষয়ে ওয়াশিংটনের বর্তমান অনুমোদন। এর চেয়ে বড় ভণ্ডামি আর কী হতে পারে?
অস্থায়ী সরকারের আশ্বাস
বিরোধী রাজনৈতিক নেতা মোহাম্মদ আল-বশির ঘোষণা করেছেন, তিনি মার্চ পর্যন্ত সিরিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মস্কো ও তেহরান উভয়েই বলেছে যে তারা সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে এবং উভয়ই এইচটিএস এবং এর মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২২৫৪ কে মান্য করার জন্য। ২০১৫ সালে পাস হওয়া এই রেজুলেশন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শান্তিপূর্ণ অবসানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
আল-জোলানি সিরিয়ার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার কিছু বিবৃতি আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে যে তার ‘কমরেডরা’ দায়িত্ব নেওয়ার পরে তিনি প্রতিশোধ নেবেন না। অথচ ঘটনাপ্রবাহ বলছে, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় দুই হাজার ৮০০ সরকারপন্থি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আসাদের মন্ত্রিসভায় যারা প্রধানমন্ত্রীর অনুগামী নন, তাদের খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হচ্ছে। সিরিয়াজুড়ে খাদ্যের হাহাকার। পালিয়ে যাওয়া মানুষ প্রাণের ভয়ে শহরে ফিরতে পারছে না।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh