বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে কথা উঠলে বিভিন্ন নেতিবাচক বিষয় উঠে আসে। যার মধ্যে রয়েছে তীব্র মামলা জট, বিলম্ব, বিশাল ব্যয়, দুর্নীতি, স্বচ্ছতার অভাব, আদালতের কাজে প্রযুক্তির সীমিত, অনিরাপদ ও অপরিকল্পিত ব্যবহার, আদালতে মামলা এবং নথি ব্যবস্থাপনায় সীমাবদ্ধতা, মামলাসংশ্লিষ্ট পক্ষের নানাবিধ ভোগান্তি ও হয়রানি, অপরাধ প্রমাণে অপর্যাপ্ততা প্রভৃতি। দেশের বিচারব্যবস্থায় আইনি প্রযুক্তির অপর্যাপ্ত এবং অপরিকল্পিত ব্যবহার পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। ফলস্বরূপ বর্তমান বিচারব্যবস্থাকে জনমুখী ও সেবাধর্মী করতে প্রয়োজন প্রাচীন ঔপনিবেশিক ধাঁচের বিচারব্যবস্থা রূপান্তর করে আদালতের সব স্তরে ও কার্যক্রমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নাগরিকদের আদালতকেন্দ্রিক পরিষেবাগুলো সুলভে, স্বল্প সময়ে ও শ্রমে, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে প্রদান করা। ইন্টারনেট ব্যবহারে বিস্তৃতি, আদালতকেন্দ্রিক আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংবলিত প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি ইত্যাদির অগ্রগতি বিশ্বজুড়ে এখন আদালতব্যবস্থাকে আগের তুলনায় দক্ষ এবং দ্রুত বিচারিক সেবা প্রদান করতে সহায়তা করছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশন এরই মধ্যে সরকারের কাছে তাদের সংস্কার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যদিও সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন এখন রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য অংশীজনের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করছে। তবে বাংলাদেশে বিচারসংক্রান্ত পরিষেবাগুলো জনগণের কাছে সহজপ্রাপ্য করার জন্য অবিলম্বে মামলা-মোকদ্দমার সব পর্যায়ে আইনি প্রযুক্তির ব্যাপক সংমিশ্রণ ও আশু প্রচলন প্রয়োজন।
সব আদালতে এবং মামলার সব পর্যায়ে আইনি প্রযুক্তির ব্যবহার একদিকে যেমন দুর্নীতি কমিয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে; অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমার জটিল প্রক্রিয়া জনগণের জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করে তুলবে। ফলে আপামর জনগণের কাছে আদালতের সামগ্রিক পরিষেবাগুলো সহজতর হবে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আদালতের কাজে আইনি প্রযুক্তির উপযোগিতা এরই মধ্যে বিশে^র বিভিন্ন দেশের বিচারব্যবস্থায় প্রমাণিত হয়েছে এবং প্রযুক্তির ব্যবহার এখন আধুনিক বিচারব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
২০২০ সালে দুনিয়াব্যাপী কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে যখন আদালতব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল; তখন মহামারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এবং আদালতে মামলা পরিচালনার প্রতিবন্ধকতাগুলো উত্তরণে নতুন দরজা উন্মোচিত করেছিল। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশও সেই মুহূর্তে আইনি প্রযুক্তির আশীর্বাদ প্রত্যক্ষ করেছিল। আদালতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ (পরবর্তীকালে সংসদের অনুমোদন পাওয়া আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০) জারি করে আদালতের দৈনন্দিন কাজে আইনি প্রযুক্তি একীভূতকরণে এক ধাপ এগিয়েছিল; যদিও মহামারি উত্তর সময়ে এ-সংক্রান্ত অগ্রগতি আর খুব একটা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং পরবর্তী সময়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এটুআই প্রকল্পের আওতায় সরকারি অন্যান্য সেবা যেমনÑব্যাংকিং সেবা, ভূমিসংক্রান্ত, পাসপোর্ট বিবিধ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল দৃশ্যমান। সেই তুলনায় বিচার বিভাগের প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত।
বর্তমানে বিচার বিভাগে আইনি প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার রয়েছে; যেমন- সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে (https://www.supremecourt.gov.bd) উচ্চ আদালতের মামলার প্রাত্যহিক কার্যতালিকা (কজলিস্ট), রায় এবং আদেশ নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্ট কাগজেও নিয়মিত ছাপা হচ্ছে এবং আইনজীবীরা অভ্যাসগত কারণে ই-কজলিস্টের তুলনায় কাগজে ছাপানো কজলিস্ট বেশি পছন্দ ও ব্যবহার করছেন। এর আগে একবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে কাগজে ছাপানো কজলিস্ট বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে আইনজীবীদের প্রতিবাদে তা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া আদালতের অন্যান্য প্রায় সব কাজে যেমন- আরজি, জবাব বা আপিল দাখিল, সাক্ষীর সাক্ষ্য লিপিবদ্ধকরণ, রায় বা আদেশ প্রদান প্রভৃতি কাজে কাগজের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। তাই জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও পরিবেশ রক্ষায় সংবেদনশীল হতে চাইলে আদালতে কাগজের ব্যবহার সীমিত করে ই-কজলিস্ট, ই-ফাইলিং ও অন্যান্য কাজে ই-নথির বাধ্যতামূলক ব্যবহারের দিকে দ্রুত মনোযোগ বাড়াতে হবে। নতুবা আদালতের কাজে ব্যবহৃত বিশাল পরিমাণ কাগজের ফাইল একদিকে যেমন বছরের পর বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করতে ব্যাপক পরিমাণ অবকাঠামো ও আসবাব প্রয়োজন। এ ছাড়া রয়েছে অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এবং ব্যয়বহুল; অন্যদিকে এই কাগজের পাহাড় থেকে নির্দিষ্ট নথি খুঁজে বের করা অত্যন্ত সময় ও শ্রম সাপেক্ষ এবং নানাবিধ দুর্নীতি উৎপাদনের উৎস।
এটুআই প্রকল্পের আওতায় সব অধস্তন আদালতের জন্য একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ই-কজলিস্ট প্রচার (https://causelist.judiciary.gov.bd), অধস্তন আদালতের রায় ও সিদ্ধান্ত প্রকাশের জন্য একটি আলাদা ওয়েবসাইট (http://decision.bdcourt.gov.bd), অধস্তন আদালত থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার জন্য একটি অনলাইন পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম (mcsc.supremecourt.gov.bd), জামিন নিশ্চিতের জন্য ‘বেইল কনফার্মেশন অনলাইন ম্যানুয়াল’, বিচারকদের জন্য একটি অনলাইন জ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম (faq.bdcourts.gov.bd) ইত্যাদির ব্যবস্থা রয়েছে। তা ছাড়া মাই কোর্ট অ্যাপ, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর, জুডিপে, ই-ফাইলিং, ই-সার্টিফায়েড কপি ইত্যাদি সংবলিত (http://www.judiciary.gov.bd/) বিচারিক পরিষেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের জন্য একটি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মও রয়েছে।
তবে বিচার বিভাগকে আধুনিক ও ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে উল্লিখিত প্রচেষ্টাগুলো প্রশংসনীয় হলেও এর বেশ কিছু উদ্যোগ এখন নানাবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলছে, কিছু উদ্যোগ প্রকল্পভিত্তিক হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এখন আর কার্যকর নেই এবং কিছু উদ্যোগ বিরাজমান বাঁধাগুলো থেকে উত্তরণ ঘটাতে পর্যাপ্ত নয়। যেমনÑজনবল এবং পর্যবেক্ষণের অভাবে ই-কজলিস্ট কার্যক্রম বর্তমানে স্থবির। এ ছাড়া জুডিশিয়াল ড্যাশবোর্ড এবং ই-সার্টিফায়েড কপি প্রোগ্রামও বর্তমানে কার্যকর নেই। আবার বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের জন্য মামলা ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক নয়। যার দরুন মামলাসংশ্লিষ্ট পক্ষ ও আইনজীবীরা ঐতিহ্য এবং অভ্যাসবশত কাগজনির্ভর ব্যবস্থায় ম্যানুয়ালি মামলা দায়ের ও অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন করতে পছন্দ করেন। অথচ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা-মোকদ্দমা ফাইলিং নিশ্চিত করা গেলে বিচারক ও আইনজীবীর পরিশ্রম অনেকাংশে লাঘব হতো, আদালতের কাজে গতি আশার পাশাপাশি দুর্নীতি কমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনয়ন করা যেত।
২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ হোয়াটসঅ্যাপভিত্তিক স্লিপ গ্রহণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এই নতুন ব্যবস্থার আওতায় আপাতত মোশন ও সময় বৃদ্ধি সংক্রান্ত শুনানির আবেদনপত্র স্ক্যান করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাতে হবে এবং সেখান থেকে আইনজীবীদের আবেদনগুলো গৃহীত হবে। তবে আদালতের কাজের মতো আনুষ্ঠানিক আইনি প্রক্রিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের মতো অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতি ব্যবহারে নিরাপত্তাসহ নানাবিধ ঝুঁকি থাকে। তাই সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে অথবা ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনলাইনভিত্তিক বাধ্যতামূলক ফাইলিং সিস্টেম চালু করতে পারলে আদালতের নথি ব্যবস্থাপনা, মামলা পরিচালনা, রায় লেখা ও প্রদান, মামলাসংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, বিচারপ্রার্থীকে মামলার তথ্য অবগতকরণসহ নানা ক্ষেত্রে জনবান্ধব এবং আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
অন্যদিকে এ বছরের প্রারম্ভে হাইকোর্টের ভিন্ন আরেকটি বেঞ্চ মামলা পরিচালনায় কাগজবিহীন ব্যবস্থা প্রচলন করেছেন। তবে এ ব্যবস্থাও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি কাগজমুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে মামলার নথি আপলোডের নিশ্চয়তার কপি প্রিন্ট করে একটি হলফনামাসহ আদালতে দাখিল করতে হয়। ফলে এখানে এখন একটি মিশ্র পদ্ধতি (অনলাইন ও অফলাইন) চালু রয়েছে, যা আইনি প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরোপুরি ডিজিটাল বা কাগজবিহীন করা সম্ভব।
তবে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার জন্য স্বল্প বাজেট, অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ এবং টেকসই পরিকল্পনার অভাব অন্যতম প্রধান বাধা। অধিকন্তু আইনি প্রযুক্তি সরঞ্জাম পরিচালনা করার জন্য যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ আদালত কর্মীর স্বল্পতা; সুপ্রিম কোর্টের সরাসরি তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণের অভাব; আইনজীবী, বিচারক এবং আদালতকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ঘাটতি; আইন শিক্ষার আধুনিকায়ন না হওয়া ও কারিকুলামে আইনি প্রযুক্তির ওপর মনোনিবেশ না করা; দেশের সব প্রান্তে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও শক্তিশালী ইন্টারনেট সংযোগের অনিশ্চয়তা, আধুনিক ডিভাইস ও উদ্যোগের অপর্যাপ্ততা, প্রযুক্তিনির্ভর দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনার অভাব, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক না করাসহ বিভিন্ন কারণে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির পরিসমাপ্তি হচ্ছে না।
তথাপি এ কথা অনস্বীকার্য যে, বিচার বিভাগে আইনি প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার কিছু ঝুঁকিও রয়েছে; যেমন তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ, প্রযুক্তিগত বৈষম্য ও পক্ষপাত হওয়ার সম্ভাবনা ইত্যাদি। আবার দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ দারিদ্র্য, অশিক্ষার কারণে ইন্টারনেট ও উন্নত ডিভাইস ব্যবহারে অপারগ। তবে আইনি প্রযুক্তি সরঞ্জামের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ঝুঁকি বিচক্ষণ নকশা, উদ্ভাবন এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কার্যকরভাবে এড়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি অন্যান্য ঝুঁকিগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্রমাগত সতর্ক তদারকি এবং প্রযুক্তির নৈতিক প্রয়োগ নিশ্চিত প্রয়োজন।
পর্যায়ক্রমে বাধ্যতামূলক ই-ফিলিং সিস্টেম চালু, ই-সমন/পরোয়ানা জারির ব্যবস্থা, ভিডিও/ভার্চুয়াল কোর্টরুম, তদন্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন, পর্যাপ্ত আধুনিক ল্যাব স্থাপন, ই-মামলা ও আদালত ব্যবস্থাপনা, কারাগার থেকে আসামিদের ভিডিও/দূরবর্তী উপস্থিতি, আসামিদের ই-প্রোফাইল তৈরি, কোভিড সময়ের মতো দূরবর্তী শুনানির ব্যবস্থা চালু রাখা, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ডিজিটাল রেকর্ডের মাধ্যমে গ্রহণ, আদালতের নির্দিষ্ট কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ, ডিজিটাল ডাটা শেয়ারিং, রেকর্ড অ্যাকসেস এবং বিনিময় প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যান্য সংস্থা যেমন: ভূমি প্রশাসনের সঙ্গে ইলেকট্রনিকভাবে নথি আদান-প্রদান ও সহযোগিতা, তথ্য যাচাই, অনলাইন বিরোধ নিষ্পত্তি প্রভৃতি উদ্যোগ ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিচার বিভাগকে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh