মাংসখেকো উদ্ভিদ পুনরুৎপাদন

কল্পকাহিনি কিংবা গল্পে মানুষখেকো গাছের কথা শোনা যায়। বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। ইংল্যান্ডের একটি এলাকায় কল্পকাহিনির শরীর হিম করা মানুষখেকো গাছ নয়, মাংসখেকো উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। উদ্ভিদের নাম সানডিউ বা সূর্যশিশির। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা বলছেন, অনেক আগে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যেত সানডিউ। কিন্তু আর্দ্র ভূমি কমে যাওয়ার কারণে উদ্ভিদটি অনেক এলাকায় বিপন্ন হয়ে যায়। এখন উদ্ভিদটির পুনরুৎপাদনের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। 

সানডিউ বা সূর্যশিশির উদ্ভিদ দেখতে আকর্ষণীয় ও সুন্দর। এর কর্ষিকাগুলো (লম্বা শুঁড়জাতীয় অংশ) বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ আটকে ফেলে এবং ক্রমেই তা হজম করে নেয়। যুক্তরাজ্যে সানডিউয়ের মতো মাংসাশী প্রজাতির আরও উদ্ভিদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ইংল্যান্ডের চেশায়ারের বাসিন্দা জশুয়া স্টাইল (২৪) সানডিউসহ বিরল সব উদ্ভিদ সংরক্ষণের জন্য গড়ে তুলেছেন নর্থ–ওয়েস্ট রেয়ার প্ল্যান্ট ইনিশিয়েটিভ নামের একটি সংগঠন। তিনি বলেন, এটা (সানডিউ) খুবই বিরল প্রজাতি। 

স্টাইল বলেন, ‘সানডিউ ইংল্যান্ডে বিপন্নের লাল তালিকায় রয়েছে। এটা ২০টির কম স্থানে জন্মায়। এখন বিরল হওয়ায় এটা আমাকে বেশ টানে। তাই আমি আবার এটা পুনরুৎপাদন করব।’

মাংসখেকো উদ্ভিদের বিষয়ে দারুণ আগ্রহ ছিল বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইনের। নিজের বইয়ের জন্য এ রকম উদ্ভিদের চিত্রাঙ্কন ও পরীক্ষা–নিরীক্ষাও করেন। ইনসেক্টভোরাস প্ল্যান্ট (পতঙ্গখেকো উদ্ভিদ) নামে ডারউইনের বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৬ সালে। বইয়ে উদ্ভিদটির বিষয়ে নিজের ভালোবাসা ও ভালো লাগার কথা তুলে ধরেন ডারউইন। তিনি বইয়ে মাংসখেকো উদ্ভিদটির নাম দেন দ্রোসেরা। এই দ্রোসেরাই পরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিতি পায়। 


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //