সন্তানের বায়না যেভাবে সামলাবেন

ছোট শিশুরা বায়না করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব বায়না কিংবা আবদার যে সন্তানের জন্য উপযুক্ত তা নয়। সন্তানের বায়না বা আবদার তার জন্য কতটা উপকারী বা ক্ষতির হবে সেটা নির্ণয় করতে এবং সামাল দিতে হবে মা-বাবাকেই। সন্তানের বায়নাগুলো সামাল দেবেন যেভাবে...

নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দেওয়া: শিশুকে প্রতিদিনের কাজ-কর্মের মাধ্যমে নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দিতে হবে। কোন জিনিস তার জন্য উপযুক্ত, কোনটা উপযুক্ত নয় সেটা বুঝতে শেখাতে হবে।

আদর দিয়ে বোঝানো: শপিংমল, মেলায় কিংবা অন্য কোথাও বেড়াতে গেলে শিশুরা নানা জিনিসের বায়না করে। এ সময় চেষ্টা করুন সন্তানের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে। ওকে আদর দিয়ে বোঝাবেন। প্রয়োজনে বলতে পারেন আগামী জন্মদিনে ওকে এটা উপহার দেবেন, এখন নয়।

ইতিবাচক উত্তর: সন্তানকে সব সময় ইতিবাচক ভঙ্গিতে উত্তর দিতে হবে। যেমন হোমওয়ার্ক না করলে বেড়াতে নিয়ে যাব না- এর বদলে বলুন, হোমওয়ার্ক করলেই বেড়াতে নিয়ে যাব। 

পছন্দের জিনিস উপহার: কোনো উপলক্ষ ছাড়াই শিশুকে তার পছন্দের জিনিস উপহার দেওয়া যায়। আর আবদার শিশুর এক ধরনের অধিকারও। তাই সামর্থ্য থাকলে পছন্দের জিনিস কিনে দিন। হতে পারে, এতে কোনো অসুবিধার সময় সে মেনে নেবে বিষয়টি। 

সন্তানের সঙ্গে খেলুন: বর্তমানে খেলাধুলা মানেই মোবাইল বা ভিডিও গেম। এ ক্ষেত্রে সন্তানকে বকাঝকা করে হাত থেকে মোবাইল বা রিমোট কেড়ে নেবেন না। এতে সে আরও জেদি ও রাগী হয়ে উঠবে। বরং তাকে আদর দিয়ে অন্য কিছুতে উৎসাহ দিন। আবার একসঙ্গে বসে গল্পের বই পড়তে পারেন বা অন্য কোনো খেলা। দিনের একটা সময় সন্তানের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠুন। এতে সন্তানের সঙ্গে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হবে।

অর্থের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে: শিশুকে সব সময় অর্থের অভাব দেখানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি প্রচুর অর্থ আছে এমন কিছুও বুঝতে দেওয়া ঠিক নয়। তাকে বোঝান যে, অনেক কিছু কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও অপ্রয়োজনীয় কিছু কেনা যাবে না। অল্প দূরত্বে যাওয়ার সময় রিকশায় না গিয়ে হেঁটে যান। এমন ছোটখাটো অনেক কাজের মাধ্যমে বিলাসিতা করার মানসিকতা থেকে মুক্ত রাখতে পারেন তাকে।

মারধর বা বকাবকি না করা: শিশুদের রয়েছে স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। তাই লোক সমাগমে শিশুর বায়না এড়াতে তাকে অপমান করা যাবে না। মারাও যাবে না। এ সময় তাকে সুন্দর করে নরম সুরে বোঝাতে হবে। এ ছাড়া সাময়িকভাবে তার কিছু প্রাপ্য সুবিধা যেমন আদর ও কথা বলা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

সঞ্চয়ী হতে শেখান: সন্তানকে মাটির বা পিগি ব্যাংক কিনে দিয়ে তাতে টাকা জমানোর কথা বলতে পারেন। এই কাজটা সে খুব উৎসাহী হয়ে করতে পারে। এতে সে সঞ্চয়ীও হবে, আবার নিজের জমানো টাকা থেকেই এটা-ওটা কিনতে পারবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //