গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল সংসদে পাস

গাজীপুরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও আবাসনের জন্য পরিকল্পনা নিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০২০’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। 

গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে এই বিল পাস করা হলো। এরপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করার মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হবে। তখন সরকারি গেজেট দ্বারা পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিলে বলা আছে, পরিকল্পনার বাইরে কেউ জমি ব্যবহার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। যদিও জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এমপিরা বিলে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হওয়ার পর স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বাধিক হ্যাঁ ভোটের মাধ্যমে পাস হয়।

পাস হওয়া বিলে ২০ জনকে নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, বুয়েটের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান, গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন করে উপসচিব থাকবেন।

মনোনীতরা তিন বছর মেয়াদে এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন। চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক চারজন সদস্যকে সরকার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেবে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। এরপর বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটি গত ৬ আগস্ট বিলটি চূড়ান্ত করে পাসের জন্য সংসদে পাঠায়।

গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই বিল পাস করা হয়। পাস হওয়া বিলে বলা আছে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ইমারত নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুনঃখনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, বিলটি আইন হিসেবে প্রণয়ন হলে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকায় একটি আধুনিক নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।

বিলের ৪০ ধারায় মহাপরিকল্পনার পরিপন্থী ভূমি ব্যবহারের দণ্ড সম্পর্কে বলা আছে- যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লেখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ভূমি ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিকে অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //