নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম
কোনো ব্যক্তির নতুন করে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, কেউ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত সময়ে আবেদন না করেন, তাহলে এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলে ভাতা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সনদ না পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারবেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এরইমধ্যে ৬৪ জেলায় এক লাখ ৮২ হাজার ৩৫২টি ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সমন্বিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিভাতা ‘বীরমুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’- এর নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়। ওই আদেশের ৩নং অনুচ্ছেদে ‘সম্মানি ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা’ হিসেবে বর্ণিত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত ৩৩ ধরনের প্রমাণের মধ্যে যে কোনো একটি প্রমাণ থাকতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘৫নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্মানি ভাতা প্রাপ্তির জন্য বীরমুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী ফরম অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন দাখিল করতে হবে। ওই আদেশের ৬নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত আবেদন যাচাই বাছাই কমিটি ৭নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘আবেদন যাচাই বাছাই পদ্ধতি’ অনুসরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা পাবেন।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh