সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

‘শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না’

নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই পাঠ্য পুস্তক নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে ডা. দীপু মনি বলেন, ধর্মকে অপব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে উত্তেজিত করা, অস্থিতিশীল ও অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করছেন তাদের উদ্দেশ্য ভুল সংশোধন নয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো তাহলে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ভুল সংশোধনের পরামর্শ দিতেন। মিথ্যাচার করতেন না। ফটোশপ করে, এডিট করে এই ধরনের মিথ্যাচার করতেন না। নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের জুজু দেখানো যাবে না, এ কারণে এসব অপপ্রচার বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে ডা. দীপু মনি বলেন, আমি আমার ধর্ম, ধর্মবোধ, ধর্মের মর্মবাণী ও ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি বিশ্বাস রেখে এই কদর্য বক্তব্যদাতাদের আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে হেদায়েত কামনা করছি। তাদের সত্য বলার, মিথ্যাকে পরিহার করার, দেশকে অস্থিতিশীলতা করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন।

সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু না পেয়ে বইয়ের ওপর সওয়ার করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে একটি চিহ্নিত মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো কিছু করেনি। কোনোদিন করবেও না। করতে পারে না। দেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার যতটুকু হয়েছে তার অধিকাংশই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নানা বিতর্ক শোনা যাচ্ছে। এই প্রচারের সিংহভাগই অসত্য, অপপ্রচার। বিভিন্ন বইয়ের ছবি ফটোশফ করে, লেখা এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। দেশের শিক্ষাক্রমের নয় যা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় না সেগুলোকে আমাদের বই হিসাবে উল্লেখ করে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের বইয়ে নেই এমন কল্পিত বিষয় ও ছবি ব্যবহার করে বইয়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হচ্ছে। ভুয়া ও আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বইয়ের লেখকদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী সম্পর্কে কদর্য ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বরেণ্য শিক্ষাবিদ যারা পাঠ্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করা হচ্ছে। কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যারা আক্রমণ করছেন তাদের কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাক্রমের বই পড়ানো হয় না। যদের প্রতিষ্ঠানে বই পড়ানো হচ্ছে তারা কিন্তু কোনো অপপ্রচার করছেন না। যাদের প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় তাদের মতামত নিয়েই পরীক্ষামূলক বইগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। বইয়ে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হচ্ছে এবং হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //