প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেসের ট্রেনের হুইসেল এবার বাজতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৫৭ বছর পর চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি পথে যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস।
করোনাভাইরাস ও ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার পর আগামী পহেলা জুন থেকে চালু হচ্ছে এ ট্রেন। ট্রেনটি চালু হলে চলাচল করবে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পথে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ জুন থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন মিতালী চালু হচ্ছে।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে যা আয় হবে তা দুই দেশের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভাগ করে নিবেন। এ পথে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে বাংলাদেশের রেলওয়ে বিভাগ আয়ের ৮০ শতাংশ আর ২০ শতাংশ পাবে ভারতীয় রেলওয়ে বিভাগ।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বাংলাদেশের চিলাহাটি আর ভারতের হলদিবাড়ি পথে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
৫৫ বছর পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মালবাহী ট্রেন এবং ২০২১ সালের ২৭ মার্চ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরপর থেকে মালবাহী ট্রেন চলাচল করলেও করোনা ভাইরাস ও ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে যায় যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার সেনানিবাস স্টেশন ও ভারতের নিউ জলপাইগুড়ির পথে চলাচল করবে। সপ্তাহে দুইদিন ট্রেনটি চলাচল করবে। ঢাকা থেকে ছাড়বে বৃহস্পতিবার ও সোমবার এবং ভারত থেকেও আসবে দুইদিন বাংলাদেশে।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য নতুন করে ভাড়ার নির্ধারণ করেছে দুই দেশের রেলওয়ে বিভাগ। চার হাজার ৯০৫ টাকা এসি বার্থের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এসি সিটের ভাড়া তিন হাজার ৮০৫ টাকা, এসি চেয়ারের দুই হাজার ৭০৫ টাকা, চিলাহাটি থেকে নিউ জলাপাইগুড়ি এক হাজার ২৫০ টাকা।
ট্রেনে থাকছে ১০টি তাপানুকুল কোচ। এর মধ্যে চারটি করে আটটি এসি ফার্স্ট ক্লাস ও এসি চেয়ার কোচ। বাকি দুইটি জেনারেটর ও ব্রেকআপ ভ্যান থাকবে। পাঁচ বছর পর্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং পাঁচ বছরের কমবয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে ২০ কেজি ওজনের মালামাল বহন করতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে বাংলাদেশ অংশে ঢাকা, কমলাপুর, চট্টগ্রাম ও নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন এবং ভারতের অংশে কলকাতার ফেয়ারলী প্যালেস ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন।