ইকোসিস্টেম: জেনেরিক
সময়কে প্রণয় দিয়ে ভাগ করেছি
মানব ও মানবীকে যোগ ধরে
একজনকে বিয়োগ করায়
ফলাফল পাওয়া যায়—
হবু মানুষেরা এখনো জন্মায়ইনি
তবু ঠিকঠিকই রয়েছে বসে
পরজন্মের অপেক্ষায়!
ইকোসিস্টেম: দ্বৈরথ একভাবে
কথাটি যদিও ঠিক—
আশ্রাফ-আল-মাখলুকাত
নাম রেখে বিধাতা মানবের প্রতি
দেখিয়েছেন সুপ্রশস্ত পক্ষপাত,
সম্মানে আসলে পক্ষপাতেরও অধিক!
কারণটিও কিন্তু বৈজ্ঞানিক—
বিধাতা জল হলে মানবও প্রপাত
হতে দেয় সম্মতি। মানবের পাপ
দেখে বিধাতা ক্রোধঘোরগ্রস্ত হলে
মানুষই হতে জানে ঐশীপ্রলাপ!
বিচারবিধিবহির্ভূত
কী যেন সেই দেশটির নাম যে দেশে
নিদ্রারও পতিত লাশ ইতিহাস-অধীভূত
হয়ে যেতে পারে অতি দ্রুত?
সেই বুলেটের দেশে নিদ্রাটি ছিল নিদ্রিতা
কবরের বেশে। তবু না-কি প্রশ্নবিদ্ধ
ছিল তার মগ্নমন্দ্রিত নিরীহতা ও শুদ্ধতা।
বুলেটেরা না-কি নিদ্রাদেহেও চিত্রিত
দেখেছিল ফাঁকি, উল্কির ক্রুদ্ধতা,
বিদ্রোহ, বেসামাল ঔদ্ধত্ব
ইত্যাদি নিদ্রিতি-দ্রবিভূত!
নিহত নিদ্রাটির জানাজা নমাজ পড়তে এসে
অবশেষে জানলাম দেশটির সুকঠিন নাম,
প্রকৃতি, ঠিকুজি-কুষ্ঠি ও পরিচিতি—
বিচারবিধিবহির্ভূত!
ইকোসিস্টেম: দ্বৈরথ অন্যভাবে
সত্যেরও অধিক-
আশ্রাফ-আল-মাখলুকাত
শিরোপায় বিধাতার পক্ষপাত
জলের প্রতি মীনের পক্ষপাতেরও অধিক!
জেনেই গেছে কারণটি বৈজ্ঞানিক-
তবু মানবের জাত বিধাতাকে মানে জল, নিজেরে প্রপাত!
মানবেরা আসলেও মানবিক,
শুধু চেনে বিধাতা, অথবা পুণ্য-পাপ!
তবু জেনে গেছে-বিধাতার চোখে তারা শুধুই প্রলাপ!
ইকোসিস্টেম: মৃত্তিকাচরিত
তখনো সত্য-অন্বেষী!
মৃত্তিকা-চোখে প্রশ্ন রেখেছি-
জেনেসিসে লেখা মৃত্তিকানীতিই
মানব-মানবী রীতি—সত্যিই সে দাবী কি?
স্রষ্টাও কি নন মানবের উপবাসী কল্পকাহিনীই?
এখনো প্রমাণ চাও? মৃত্তিকার সে কি উপহাসি হাসি!
বৃক্ষকে আশ্রয় দিয়েছি, বক্ষে ধরেছি। সম্প্রতি সেই বৃক্ষই,
তোমাদেরই মতই, ভাবছে, তার বশ্য-অধীনতরই রয়েছি নিশ্চয়ই!