পুরাণ বলেন, কৃষ্ণ বিষ্ণুর
আট নম্বর অবতার
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষে
ব্রজে হলেন সঞ্চার।
অষ্টমীতে মধ্য রাতে
আবির্ভাব হল তাঁর
দুর্জনের বিনাশ সাধন
ও সুজন রক্ষাকার।
অষ্টমীর তিথি শুরু আজ
রাত দশটা ছাপ্পান্ন
শেষ হবে তা আগামীকাল
রাত বারোটা আটান্ন।
মথুরা যখন গভীর ঘুমে
অষ্টমী তিথিতে
শ্রীকৃষ্ণের শুভাগমন হয়
ক্লিষ্ট পৃথিবীতে।
কংস মামা চেয়েছিলেন
কৃষ্ণে করে হত
মথুরার রাজ্যশাসন
করতে অবিরত।
সেই ভয়েতে বসুদেব তাই
গিয়ে বৃন্দাবনে
দেবকী নন্দনে দিলেন
যশোদা মা’র সনে।
যশোদা-নন্দের কন্যাকে
নিয়ে রাত-আঁধারে
যমুনা পাড়ি দিয়ে ফিরেন
কংসের কারাগারে।
পরমেশ্বরের সদিচ্ছায়
কংস হন বিমূঢ়
জগদীশ্বর বৃন্দাবনে
লীলা দর্শান গূঢ়।
বাল্যলীলা ছিল যে তাঁর
বৈচিত্রে সমুজ্জ্বল!
পুতনা বধ, দাম বন্ধন
দেখায় প্রতাপ ঝলমল।
কলীয়দমন কাণ্ডেতে
শিশু বীরের বিক্রম
গোবর্ধন পর্বত ধারণ
কাটায় সবার বিভ্রম।
এই শিশুতেই প্রভুরূপী
পরমেশ্বর আসীন
ভূলোক পালক কৃষ্ণরূপ
গোপাল সমাসীন।
মধ্য রাতে ভোগের শুরু
মিছরি, সাদা মাখন
শিশু কৃষ্ণের পছন্দ তা
ধর্ম গ্রন্থের বর্ণন।
ছানা, ক্ষীর, লাড্ডু ছিল
শিশু কৃষ্ণের প্রিয়
দশ শিশুকে লাড্ডু দেয়া
এদিন জনপ্রিয়।
পরমাত্মা ধরায় আসেন
জীবাত্মার রূপ নিয়ে
ছাপ্পান্ন পদে নিবেদন
ভোগ শ্রদ্ধার্ঘ দিয়ে।
বিশ রকমের মিষ্ট দ্রব্য
ও বিশ রকমের ফল
ষোল রকমের থালিতে
নোনতা স্বাদোজ্জ্বল।
দহি হাণ্ডি রাখা থাকে
উঁচু এলাকাতে
শিশুরা সব বেয়ে উঠে
মাখন নিতে হাতে।
পরমেশ্বর রূপে কৃষ্ণের
অলৌকিক মায়াতে
শান্তি রবে অব্যাহত
ভক্ত তাঁরই ছায়াতে।
কৃষ্ণ বলেন, ‘ফলত্যাগী
ভজনা তোমার কাজ,
ভক্ত জনে আশ্রয় দিতে
ধরাতে আমার সাজ।‘
প্রণমহি শুভক্ষণে
কাটুক দুঃখ, নিদান
সপরিবার জপ করে যাই
শ্রীকৃষ্ণময় বিজ্ঞান।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : জন্মাষ্টমী প্রণব চক্রবর্তী
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh