মেইয়ে সাবূ হো শেইকার খাবে সোব্হ্ তা’ চান্দ
বে ওয্রে নীমে শাবী কুশ ও গেরয়েয়ে সাহরী।
প্রভাতের মদিরা, সকালের ঘুমের মজা আর কতকাল
নিশির আকুতি, শেষ রাতের আহাজারির সাধনা কর।
-হাফেজ
‘বুলবুল-ই- শিরাজ’ নামে ডাকা হয় তাঁকে
মানবিক সংকটে ও অস্তিত্বের দুর্বিপাকে
গভীর বিশ্বাসে করি সেই কবিকে স্মরণ
হাফেজ সে কবির নাম
বিশ্বনাগরিক সবে হাফেজের
অন্তরঙ্গ সুহৃদ স্বজন।
তাঁকে আরো বলা হয় ‘আরেফ’ বা অধ্যাত্ম সাধক
তাঁর ইশ্কে মজে যায়
শত শত বর্ষ ধরে বিমুগ্ধ পাঠক।
দীওয়ানে গজলে পাই
হাফেজের প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর
রহস্য দ্যুতিতে ভরা পঙ্ক্তিমালা
শৈল্পিক সৌন্দর্য আর আবেদনে
চিরায়ত কালজয়ী
ধ্রুব অনশ্বর।
হাফেজের কবিতায় অতীন্দ্রিয় শব্দমালা
ছন্দে সুরে
সুন্দরের অত্যাশ্চর্য শৈল্পিক নির্মাণ
কাল থেকে কালোত্তরে
মানবিক সুকৃতির গান।
বর্ণনায় সাবলীল চিত্রকল্প
প্রাঞ্জল সরল
কুলকুলু স্রোতস্বিনী যেন সে নির্ঝর
সূক্ষ্ম শিল্প বয়নের লালিত্য মধুর
মর্মরিত হৃদয়ের বেগানা প্রান্তর।
তাঁর কাব্যে মূর্ত হয়
সাংকেতিক রূপকের মগ্নতা মহৎ
শাশ্বত সে আবেদন
সহজে পেরিয়ে আসে শতবর্ষ পথ।
রবীন্দ্রনাথের বড়ো প্রিয়জন
শিরাজের এই মহাকবি
হৃদয় প্লাবিত করে রোমান্টিক মৃদু স্বরে
হাফেজের তাজাল্লী ও
নান্দনিক ঐশিতার ছবি-
তাঁর বিশ্বদর্শনের নৈতিকতা দৃঢ়মূল ভিত
কালে কালে যুগে যুগে
হয়ে থাকবে মানবের পাথেয় প্রেরণা
ধন্য ধন্য হাফেজের কবিতার ধ্রুপদী সংগীত।