আফগান নারীদের গাওয়া শ্লোক বা কবিতার দুটি লাইনের মাধ্যমে আবেগ, আকাক্সক্ষা বা বিলাপে যে অনুভূতি প্রকাশ পায়-তা শ্রোতাকে স্বস্তি দিতে সক্ষম হয়। ব্যাকরণগত কাঠামো যতটা অনুপ্রেরণা দেয়-ততটা সাহায্য করে বিভিন্ন স্রষ্টাকে আলাদা হতে। যদিও তাদের সুরগুলো গভীর ও বিশুদ্ধ সংযম অর্জন করে। প্রকৃতপক্ষে সম্প্রদায়ের সেই অংশ থেকে পরবর্তী উৎসগুলো বিদ্বেষপূর্ণভাবে অকর্ষিত। তারা সরল আর দুর্বল হলেও আশেপাশের সমভূমি ও পাহাড়ের বুনো ফুলের মতোই সুন্দর। কারণ তারা সুশৃঙ্খলভাবে বপন করা ছাড়াই জন্মেছে, অরক্ষিত ও প্রভাবমুক্ত। কঠোর অর্থেÑতারা পর্দার বাইরে বিদ্যমান। তবে তারা যে অনুভূতি ও ধারণাগুলো প্রকাশ করে তা দেখে সেগুলোর লেখকদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে হয়।
নির্দয় লোক দেখে
যায়-কি করে এক বৃদ্ধ আমায় নিয়ে যায় তার বিছানায়
জানতে চাও আবারÑকেন
আমি ফুপড়ে কাঁদিÑকেনইবা চুল ছিঁড়ি!
এমনকি জীবনের
একঘেয়েমিয়তা তাকে উদাসীনতার সাথে এমন
অসামঞ্জস্য দাম্পত্য
জীবনকে সহ্য করতে সাহায্য করে না:
হায় খোদা! আবারও
আমার কাছে কালোরাত পাঠালে
আবারও আপাদমস্তক
উঠি আমি কেঁপেÑঘৃণা করা শয্যায় আমাকে যেতে হবে
*
হায় খোদা! আরো
একবার তোমার দীর্ঘ-নীরস রাত এখানে
আরো একবার আমার
‘ছোটো ভয়’ এখানেই আছে ঘুমিয়ে
ছোটো ভয়- যা প্রাপ্য মাঝেমধ্যে সে তা পায় ঠিক এরকমভাবে:
হে আমার প্রেমÑআমার সাথে ঝাঁপ দাও শয্যায়
ভয় পেয়ো না যদি
ভেঙে যায়Ñমেরামতের জন্য তো আছেই-ছোটো ভয়
*
হে আমার প্রেমÑতুমি
আমাদের ঘরে আসলে-ছোটো ভয় রেগে যায়
আর এসো নাÑপরকালে
আমার দুই দুয়ারের মধ্য-মুখ তোমাকেই দেবো হায়
*
প্রিয়তম আমারÑএসোÑকাছাকাছি
কিছুক্ষণ বসো
জীবন দ্রুত পরিণত
হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী শীতের সন্ধ্যায়
*
প্রিয়-আমার কবর
খুলো আর দেখো
আমার চোখের মিষ্টি
নেশা ঢেকে দিয়েছে ধুলো
*
হে ভাঙা কবরÑহে
বিক্ষিপ্ত ইটÑপ্রিয় এখন আর ধুলিকণা ছাড়া কিছুই না
বিলাপের বাতাস
আমার কাছ থেকে তাকে নিয়ে গেছে বহু দূরে
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কায়েস সৈয়দ আফগান নারীদের কবিতা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh