খালেদা জিয়ার কোয়ারেন্টিন শেষ আজ, নেতারা সাক্ষাৎ চান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার (৮ এপ্রিল)। 

তার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হলেও মানসিকভাবে আগের তুলনায় ভালো আছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে সীমিত পরিসরে চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে চান দলের সিনিয়র নেতারা। যদিও তারা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে খালেদা জিয়ার ইচ্ছার ওপর। তিনি ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অনুমতি পেলেই তারা দেখা করতে যাবেন।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ওঠেন। ২৬ মার্চ থেকে তার হোম কোয়ারেন্টিন শুরু হয়। সেই হিসেবে আজ ৮ এপ্রিল ১৪ দিন পূর্ণ হবে।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। এখনো তিনি হুইল চেয়ারে চলাফেরা করছেন। নতুন করে কোনো রোগ হয়নি। তবে পারিবারিক পরিবেশে থাকার কারণে দিন দিন মানসিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। খাবারের প্রতি রুচিও কিছুটা বেড়েছে। 

বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। তিনি কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে শুধু নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বোন সেলিমা ইসলাম, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে দেখতে গেছেন।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেছেন, বুধবার খালেদা জিয়ার কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। তার শরীরের অবস্থা ভালো না। এখনো দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না। এক কথায় তার শরীরের অবস্থা আগের মতোই আছে। তবে মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো।

তিনি বলেন, তার চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে পরবর্তীতে অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার পক্ষে এখন কোথাও মুভ করা সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক বলেন, সবার আগে খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে। আর বাসায় চাইলেও তাকে সর্বোচ্চ আধুনিক চিকিৎসা দেয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। আবার এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাকে হাসপাতালে নেয়াও সম্ভব না।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেন, আমরা নিজেরাও সবাই এখন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। তারপরও খালেদা জিয়ার হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হলে সীমিত পরিসরে তার সাথে দেখা করতে যাবো। যদিও এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ম্যাডামের ইচ্ছার ওপর। 

আগামী শনিবার (১১ এপ্রিল) দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হলে সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। কারণ খালেদা জিয়া এখনো পুরোপুরি পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। সেখানে দল কীভাবে তার চিকিৎসা বা অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে সেটারও চিন্তাভাবনার দরকার আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা এখন সবার আগে। এরপর অন্য কিছু দেখা যাবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //