ঈদের আগে-পরে ১৪ দিন সড়কে নির্মাণকাজ বন্ধ

ঈদের আগের সাত দিন ও পরের সাত দিন সড়কে চলমান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২২ জুলাই) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সড়ক মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা জানেন ১ আগস্ট উদযাপিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। কঠিন এক বাস্তবতায় আমরা এবার ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি। একদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি। অন্যদিকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়া বন্যা। সরকার নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে জনস্বার্থে গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই করোনার পাশাপাশি শ্রাবণের অবিরাম বৃষ্টি সড়ক-মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা, সুরক্ষা এবং তাৎক্ষণিক মেরামতে অতীতের মতো সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণের ঈদযাত্রা করতে হবে নির্বিঘ্ন।’

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা জোনের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি বলে মনে করি। এক্সিট পয়েন্ট, বিশেষ করে ভুলতা, নবীনগর, চন্দ্রা, গাজীপুরের পুরো করিডোর, নবীনগর-চন্দ্রা করিডোর, টঙ্গী, কালিয়াকৈর-চন্দ্রা করিডোর ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে। পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে। এসব এলাকায় গাড়ি থামতে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক বা কমিউনিটি পুলিশের সাপোর্ট নিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত সড়ক-মহাসড়কের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং যেকোনো মূল্যে সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের সাত দিন ও পরের সাত দিন ফ্লাইওভার-আন্ডারপাসসহ চলমান কাজ বন্ধ রাখুন জনস্বার্থে। আপনারা জানেন, সরকার ইতোমধ্যে ঈদে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে। তাই, আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। প্রত্যেক জোন, সার্কেল ও বিভাগকে সক্রিয় থাকতে হবে, যাতে সড়ক-মহাসড়কের ওপর বা পাশে পশুরহাট না বসে। এ বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আগেই সমন্বয় করবেন।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু থাকতে পারে। বৃষ্টি, বন্যাজনিত পানির প্রবাহ সেতুর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই নজরদারিতে রাখতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু এবং বিকল্প ঠিক করে রাখতে হবে আগেই।

তিনি বলেন, নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ভুলতা, কাঁচপুর এলাকায় অসংখ্য গার্মেন্টস। এসব গার্মেন্টস যেদিন ছুটি দেবে সেদিন ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড চাপ তৈরি হবে। চাপ সঠিকভাবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ম্যানেজ করতে আগেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিজিএমইএর সাথে সমন্বয় করুন। প্রয়োজনে বিআরটিসির বাস এসকল পয়েন্টে আগে থেকে স্ট্যান্ডবাই রাখুন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি টঙ্গী- গাজীপুর সড়ক নিয়ে উদ্বেগে আছি। এ মহাসড়কে বিআরটির প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রয়োজনে গাজীপুরের মেয়র, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। এবার বিশেষ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এমন পরিস্থিতি আমাদের জাতীয় জীবনে আগে আসেনি। তাই নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করছি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //