স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মত সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এজন্য আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবো।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। এই বিএনপির আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেয়ার পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার শূন্যের কোঠায়- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এই দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে।  

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপরেও তারা কোনো লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে জাতি জানতে চায়।

হানিফ আরো বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাই রাস্তায় নামেননি, কারণ তারা জানেন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় খালেদা জিয়া বাইরে আছেন। এরপরেও তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে জাতির কাছে তা বোধগম্য নয়।

এসময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।