রোজিনার জামিনের বিলম্ব ‘ওল্ড প্র্যাকটিস’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানির রায় দিতে দেরির ঘটনাকে ‘ওল্ড প্র্যাকটিস’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম: মুক্তির পথ কী?’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোথায় যাবেন, জুডিশিয়ারি? আজকে রোজিনা ইসলামের জামিনের শুনানি হয়েছে। রায় দেবে আগামী রবিবার (২৩ মে)। সেইম ওল্ড প্র্যাকটিস। এখানে ড. খন্দকার মোশাররফ আছেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আছেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আছেন, আমাদের সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ আছেন। আমাদের সঙ্গে যে কী আচরণ করা হয়, সেটা তো আমরা ধর্তব্যের মধ্যে নেই না। যে আমরা রাজনীতিবিদ, আমাদের প্রাপ্য-এটা হবে। কিন্তু দ্যাটস দ্য রিয়েলিটি। এ জিনিসটা আমাদের বুঝতে হবে, এটাই রাষ্ট্রের চরিত্র। এ রাষ্ট্র যারা শাসন করছেন তারা রাষ্ট্রকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার রাষ্ট্র বাকশাল প্রতিষ্ঠার জন্য তারা অতীতেও করেছিলেন, সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। 

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে গণমাধ্যম যে বন্দি তার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি প্রমাণ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতন, হেনেস্তা ও অপমানের ঘটনা। সর্বশেষে তাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশে যে সরকার রয়েছে, এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। তাদের বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রতিফলন হচ্ছে রোজিনার ওপর ঘটনা।

তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে এফআইআর করা হয়েছে। তখন এদেশে কলোনিয়াল রুল ছিল। তখন যেটা প্রয়োজন ছিল, আজকে দু’টি স্বাধীনতা। ব্রিটিশদের একবার তাড়িয়ে স্বাধীন হয়েছি। পশ্চিম পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে একবার স্বাধীন হয়েছি। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে ব্রিটিশদের আইন ব্যবহার করে একজন সাংবাদিককে হেনস্তা করতে হয়, এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে দেশে মাহমুদুর রহমান, আবুল আসাদ, রুহুল আমিন গাজীরা শুধু সত্য কথা বলার জন্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করার জন্য এ রকম মামলা-হামলা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে পারে, অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাননি।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //