খালেদার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন ফখরুলরা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দাবি করেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার দল খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন দাবি করেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। একজন মানুষের ছয়টা জন্ম তারিখ হওয়া মানে তার জন্মতারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তারাই সেটা করছে। আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই সবার কাছে পালনীয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিশ্চয়ই সকল তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্ম সংক্রান্ত তথ্যাদি উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। সেটি নিয়ে আজ মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো হাইকোর্টের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন, আইন-আদালতের প্রতি অসম্মান। তিনি সেখানে কিছু আপত্তিকর কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট দিনে কেউ জন্ম নিতে পারবে না সেটা বলে দিলেই হয়, এটি প্রচণ্ড আপত্তিকর। কে কোন দিন জন্মগ্রহণ করবে সেটি নির্ধারণ করেন মহান আল্লাহ। স্রষ্টার ইচ্ছায় যে কেউ, যেকোনো জায়গায় জন্মগ্রহণ করতে পারেন।

ড. হাছান বলেন, পৃথিবীর সব প্রাণী একবার জন্মগ্রহণ করে, মানুষও একবার জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীর কোনো মানুষ ৫-৬ বার জন্মগ্রহণ করে না। কোনো মানুষের ৫-৬টি জন্মতারিখ থাকে না, যেহেতু জন্ম একবারই হয়। অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। সব প্রাণী একবারই জন্মগ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, খালেদার ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি তার মেট্রিক পরীক্ষা ফলাফলে তার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বিবাহ সনদে তারিখ ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট, সরকারি নথিতে তার জন্মতারিখ ১৯৪৭ সালের ১৯ আগস্ট, বর্তমান পাসপোর্টে আছে ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট, সম্প্রতি করোনা টেস্টে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ১৯৪৬ সালের ৮ মে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন একজন মানুষ কয়বার জন্মায়? আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে ৫-৬ বার জন্মতারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্মগ্রহণ করালেন। ওনার কোনো সরকারি নথিতে জন্মতারিখ ১৫ আগস্ট উল্লেখ নেই। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে ওই দিনকে খালেদার জন্মতারিখ বলে কেক কাটা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হাত্যাকাণ্ডে সমর্থন দেয়ার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য এবং উপহাস করার জন্য।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //