কৌশল পাল্টাচ্ছে বিএনপি

খুলনায় আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে দাবি করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলছেন, ময়মনসিংহে সমাবেশের দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও এবার ঘোষণা দিয়ে খুলনায় দুই দিন পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সমিতি। বিভাগীয় সমাবেশের আগে এমন সিদ্ধান্তকে সরকারের নয়া কৌশল হিসেবে দেখছে বিএনপি। জবাবে তারাও কৌশল পাল্টাচ্ছে। 

এদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপির কর্মসূচিতে তারা কোনো বাধা দিচ্ছে না। বাস মালিক সমিতি কী করবে সেটি নিজস্ব বিষয়। তাদের সিদ্ধান্তে কোনো হস্তক্ষেপ নেই ক্ষমতাসীনদের।

বিকল্প ব্যবস্থায় সমাবেশের এক দিন আগে অর্থাৎ আজ রাতের মধ্যে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের খুলনা শহরে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। এজন্য খুলনা জেলা বাদে বিভাগের বাকি ১০ জেলায় দলীয় উদ্যোগে ট্রলার, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এগুলো যেখানে বাধাপ্রাপ্ত হবে সেখান থেকে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে সমাবেশে যোগ দেবেন। তারা সমাবেশস্থল ও তার আশপাশের বাসা-বাড়িতে রাত যাপন করবেন।

জানা গেছে, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে পৌঁছাতে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে চুয়াডাঙ্গা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুই দিন আগেই খুলনার পথে রওনা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দলের প্রস্তুতি সভা শেষে নেতাকর্মীদের কেউ ট্রেনে, কেউ বাসে চড়ে রওনা দেন। সমাবেশের দিন খুলনায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধের আশঙ্কায় দলীয় নেতাদের পরামর্শে তারা পানির বোতল ও চিড়া-মুড়িসহ শুকনা খাবার সাথে নিয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল দেখে বিএনপি এমন চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। তাদের প্রত্যাশা- কোনো প্রতিবন্ধকতাই খুলনায় জনস্রোতকে রুখতে পারবে না।

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক এই সমাবেশ আটকাতে পারবে না। এই বিভাগের মানুষ সাঁতার কেটে হলেও সমাবেশে আসবে।’ 

তিনি বলেন, ‘বাস বন্ধ না করতে মালিক সমিতিকে লিখিত অনুরোধ জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরই তারা বন্ধের ঘোষণা দিল।’

অন্যদিকে বিএনপির ২২ অক্টোবর খুলনার সমাবেশকে কেন্দ্র করে নতুন কৌশলে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাদের পরিকল্পনা- সমাবেশের মতো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। এমনকি পাল্টা কোনো কর্মসূচিও নেবে না দলটি। তবে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিমত্তা জানান দেবে দলটি।

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য, বিএনপির সমাবেশে যাতে জমায়েত কম হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকবে চোখে পড়ার মতো। চলবে আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান। এছাড়া আন্তঃজেলায় বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু বাস ও লঞ্চ নয়, ট্রাকসহ অন্য যানবাহনও চলাচলে বাধা দেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যায়ে যানবাহন সিএনজি-মাহেন্দ্রসহ অন্য সাধারণ যাত্রীদেরও আটকে দেওয়া হবে। আর যদি কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেটি মোকাবিলা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে পুলিশ প্রহরা।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //