‘আগামী ডিসেম্বরে বিএনপিকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না’

আগামী ডিসেম্বরে বিএনপিকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরজুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সকালে একটা, বিকালে আরেকটা।

আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এই কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই সভার আয়োজন করে।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস রক্তে ভেজা মাস। সেই মাসে তারা সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চায়। আমানুল্লাহ আমানের মতো নেতা বক্তব্য দেয়, ১০ তারিখের পরে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে তারা ঘোষণা দেয়। বিজয়ের মাসে বিএনপিকে সারা দেশের কোথাও নামতে দেওয়া হবে না।’

বিএনপি একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে মায়া বলেন, ‘একেক সময় একেকটা সুযোগ আসে ছোট বড়। সেটাকে পুঁজি করেই তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। নির্বাচনের আরো এক বছর আছে। এর আগেই তারা ক্ষমতা দখলের জন্য, উল্টো পথে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে।’

এদিকে বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন,  ‘তাদের যে কথাবার্তা, লজ্জা লাগে। আমাদের পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। যে ভাষা আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করে, যে ভাষায় তারা হুঙ্কার দিচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করার জন্যে, তারা চায় আমাদের তৃণমূল নেতাকর্মীরা যাতে উত্তেজিত হয়, তাদের ওপর আক্রমণ করে। তবে আমাদের নেতাকর্মীরা ধৈর্য ধরে আছে। এজন্য তারা (বিএনপি) অরাজনৈতিক ভাষায়, নোংরা ভাষায় আজ আস্ফালন করছে। তাই পরিষ্কার, এদের আর বরদাশত করা হবে না, মাঠে থাকতে দেওয়া যাবে না। '

তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানকে যেভাবে পিটিয়েছে, মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে দিয়েছিল তখন আর্মিরা। নাকে খত দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। হেঁটে যেতে পারে নাই। দেশ ছাড়তে হুইল চেয়ারে করে এয়ারপোর্ট যেতে হয়েছিল। এই স্মৃতি কি তাদের মনে পড়ে না? বেহায়ার মতো আবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে। আবার সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।’

তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ছিল উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মাইনাস থিউরিতে আমার নেত্রীকে জেলে নিয়েছিল, তোমার নেত্রীকে জেলে নিয়েছিল। আজ খালেদা জিয়া যেই মামলায় জেলে, সেই মামলা তখনকার তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছিল। তাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করেছিল, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছিল। সেই কথা কি আমরা ভুলে গেছি?’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়। ওই তত্ত্বাবধায়ক নির্দলীয় সরকার বাংলার মাটিতে জিন্দেগিতে প্রতিষ্ঠিত হবে না। প্রশ্নই আসে না। যত আন্দোলন করেন, যতই লাফালাফি করেন, ওই অবস্থায় বাংলাদেশ ফিরে যাবে না।’

বাংলাদেশে সরকারে ও বিরোধী দলে উভয় দিকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে হবে মন্তব্য করে সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতই আমরা চিন্তা করি না কেন একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ, শেখ রাসেলের মতো শিশুদের জন্য একটা শান্তিপূর্ণ দেশ, আদর্শ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এরা যতদিন রাজনীতিতে থাকবে এটা কোনো অবস্থায়ই সম্ভব হবে না। এদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’

সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডা. অরূপ রতন চৌধুরী।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //