মানুষ পুড়িয়ে মারতে চাইলে একটাকেও ছাড়বো না: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে আবারো মানুষ পুড়িয়ে মারতে চাইলে একটাকেও ছাড়বো না। আমরা সহ্য করেছি, এটাকে অনেকে দুর্বলতা বলে। এটা আমাদের দুর্বলতা নয়।

আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা হুঁশিয়ার করে বলেছি আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায় তাদের একটাকেও ছাড়ব না। এটা হলো বাস্তব কথা। 

বিএনপি আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওপর যে আঘাত দেওয়া হয়েছে আমরা তা ভুলিনি। আমরা সহ্য করছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে, সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। খুনিদের সঙ্গে নেই। 

তিনি বলেন, আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু যেভাবে তারা ওই অত্যাচারগুলো করেছিল আমরা ভুলব কীভাবে? সাধারণ মানুষ ভুলবে কীভাবে? তার ওপর তাদের অগ্নি সন্ত্রাস, এটা কোন মানুষের কাজ। জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারা, এটাই নাকি বিএনপির আন্দোলন!

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ আমলের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এদেশের জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণের কল্যাণই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু অপর পক্ষে বিএনপি কী করে? তারা ক্ষমতায় আসা মানে অত্যাচার, নির্যাতন। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন ২০০১ এর নির্বাচনের পর কীভাবে বিএনপি এবং জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সারা বাংলাদেশে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলন করতে যেয়ে একদিকে বিএনপির লেলিয়ে দেওয়া গুণ্ডা বাহিনী, জামায়াত-শিবির, আরেকদিকে পুলিশ বাহিনী আমাদের নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছে। রাস্তায় ফেলে কীভাবে মেরেছে, নির্যাতন করেছে, বুটের লাথি মেরেছে, তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। এমনকি  সদ্য প্রসূত শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী কেউ রেহাই পায়নি। এভাবে তারা অত্যাচার নির্যাতন করেছে। কই আমরা তো কিছু করছি না। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না।

এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আয়োজনকে ঘিরে সংগঠনটির হাজার হাজার নারী নেতাকর্মী জড়ো হয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো উদ্যান।

মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সংগঠনের কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন সভাপতি হিসেবে মেহের আফরোজ চুমকি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শবনম জাহান শিলার নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে, সংগঠনটির সভাপতিত্ব করেন এতদিন দায়িত্বপালন করে আসা মহিলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //