জাতীয় পার্টির মসনদ নিয়ে মধ্যরাতে কাড়াকাড়ি

দায়িত্ব পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই স্থগিত করা হলো জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পদ।

আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশনের পদ স্থগিতের বিষয়ে জানান বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র।

জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে সংখ্যাগরিষ্ঠ কো চেয়ারম্যানদের মতামত ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় আইনি জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপিকে দেয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে রাত পৌনে ১০টার দিকে রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়।

গণমাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে সংখ্যাগরিষ্ঠ কো-চেয়ারম্যানদের মতামত ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় আইনি জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

কাজী মামুনুর রশীধ জানান, আজ (বুধবার) রাতে এক সভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তে সই করেন দলের কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাড. কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাড. সালমা ইসলাম এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও নাছরিন জাহান রত্না।

এদিকে জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বেগম রওশন এরশাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনের কোনো এখতিয়ার নেই বলে জানানো হয়েছে। রওশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার খবরটিকে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই নিয়োগ পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০ উপধারা ২ খ এর পরিপন্থী। মাহমুদ আলম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরপন্থী হিসেবে পরিচিত।

মাহমুদ আলমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০ উপধারা ২ খ এর বিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যানের দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টিতে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কিংবা কো-চেয়ারম্যান পদে কেহ দায়িত্বে থাকিলে তাহাকে অন্যথায় প্রেসিডিয়ামের ১জন সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়ামের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করিবেন। উপরোক্ত বিধান অনুযায়ী পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা গঠনতন্ত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপর অর্পিত আছে। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী পার্টির যে কোনো নিয়োগ, অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় কাউন্সিল শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের উপর অর্পণ করেছে। কো-চেয়ারম্যানসহ অন্য কেউ নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষমতা রাখেন না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদের উপর কোন আদালত কর্তৃক কোনো নিষেধাজ্ঞা জারী হয় নাই অস্থায়ীভাবে চেয়ারম্যানের গঠনতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে।

উপরোক্ত কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বপদে বহাল আছেন বিধায় অন্য কারো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো এখতিয়ার বা সুযোগ নেই বলে জানান মাহমুদ আলম।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //