তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হবে না: গয়েশ্বর

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এই সরকার আবারো নিজেদের মত করে নির্বাচন করার লক্ষে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুদক ও আদালতকে ব্যবহার করা শুরু করেছে।

আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠোমা মেরামত রুপরেখা: ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন শুরু করলে বিএনপি গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদের মাধ্যমে পাশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। অথচ এই বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় এসে তাদেও স্বার্থে সংবিধান বার বার পরিবর্তন করলেও তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো কাজ তরা করছেন না।

গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা নাই যে কোর্ট থেকে জামিন পাননি। অথচ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে সাজা প্রদান করা করে জেলে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতিটি পণ্য জনসাধারণের নাগালের বাহিরে নিয়ে গেছে। এখন মানুষ অত্যন্ত অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। অথচ সরকার মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। এইগুলো অন্যায় থেকে বাঁচতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু এ আশায় ছাই ছিটিয়ে দেবে বিএনপি। এজন্য দেশব্যাপী সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেইসাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দশ দফা দাবি এবং সাতাশ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা দিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকারের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহারগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু।