আওয়ামী লীগের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে: মান্না

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ওদের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে।

আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ধীরে ধীরে পাখির ডানা ছোট হয়ে আসছে, ধীরে ধীরে হাত-পা যত নাড়াত সেই হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। ওদের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। অবশ্য এটা বলা যায়, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ তো জীবিত নেই।

শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সমস্ত দল মিলিয়ে যুগপৎ আন্দোলন, বৃহত্তর আন্দোলনের একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি। আজকের এই কর্মসূচিও সারা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে। আমরা খুব স্পষ্ট কণ্ঠে বলতে চাই, শেখ হাসিনার ইভিএম মানি না, কোনো জাল-জুয়াচুরি মানি না, ফোরটুয়েন্টি নির্বাচন করতে দেব না। সবার জন্য বলি, শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে কোনো নির্বাচন আর হতে পারবে না।

মান্না বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে যেতে হবে। তার জায়গায় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই সরকার অন্তর্বর্তীকালে একটা ভালো নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবেন—এই কথা আমরা যেমন বলছি, আজকে সারা দুনিয়াও বলছে। আমেরিকা কী কী বলেছে আপনারা জানেন। এখন দেখি কানাডা বলে, জাপান বলে। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি তো দুনিয়ার কোথাও শুনি নাই দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়।’ এখন দেখি অস্ট্রেলিয়াও বলছে।

পরবর্তী কর্মসূচি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, আজকেই আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করছি না। আগামীকাল আমরা সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি নিয়ে আলাপ করে পরে ঘোষণা করতে পারব। যেহেতু আগামীকালও আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের সহযোগীদের কারও কারও কর্মসূচি আছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর যে নির্যাতন করা হয়, তাদের লিখতে দেওয়া হয় না, ছবি ছাপতে দেওয়া হয় না, সত্য কথা বলতে দেওয়া হয় না। আমেরিকাসহ ১২ দেশ বলেছে, এ কাজ বন্ধ করতে হবে। 

মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি কী? তারা কোনো ভালো কাজ করছে? সো-কল্ড যে উন্নতির কথা বলছে, সেই উন্নতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষই বলে—চালের দাম যদি ৯০ টাকা হয় দেশের উন্নতির মানে কী? এই অবস্থার অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে তারা (সরকার) দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এই যে আমাদের পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার, এটা যে কত বড় ঘটনা। একটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করলে ওই দেশের আর কিছু ধ্বংস করতে হয় না।

তিনি বলেন, ওনারা (সরকার) আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ব্যবস্থাদি নিয়েছেন। শিক্ষা দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয়। সেখানে শিক্ষা নিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার সমস্ত নীতি তারা কার্যকর করছে। এটা কেন করছে? আবারও ক্ষমতায় থাকার সুবিধার জন্য। আবারও বলি, দেশ ও মানুষকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় থাকার যে স্বপ্নে বিভোর—এই স্বপ্ন জনগণ ভেঙে চুরমার করে দেবে।

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মনির উদ্দিন পাপ্পুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //