প্রধানমন্ত্রী ‘কসমেটিক উন্নয়নে’ বিশ্বাস করেন না: তথ্যমন্ত্রী

শতবর্ষী বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন, দেশব্যাপী ১০০ শিল্পাঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা, স্বাধীনতার সময়ে দেশের জিডিপিতে শিল্পখাতের ৬ শতাংশ অবদানকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করা, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ, গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ডিশ এন্টেনার সংযোগ -এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কথা সাংবাদিকরা তুলে ধরবেন- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছনে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

রাষ্ট্র ও সমাজের ভালো ঘটনা ও সাফল্যের সংবাদ এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিবৃত্তিক অন্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘কসমেটিক উন্নয়নে’ বিশ্বাস করেন না। তিনি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী, বিষয়ভিত্তিক, ইস্যুভিত্তিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। সে কারণেই তিনি দশ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

আজ সোমবার (১৯ জুন)  বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ: বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার মাইলফলক’ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্বলতা হচ্ছে আমরা আমাদের উন্নয়নটা চোখে দেখি না, দেখলে বলি না, বলতে অনেক সময় লজ্জা পাই এবং আমরা সমালোচনা পছন্দ করি।

‘সমালোচনা অবশ্যই থাকবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমালোচনাহীন  ‘মনোটোনাস সোসাইটি’ বা একঘেঁয়ে সমাজ নয়, আমরা একটি বহুমাত্রিক সোসাইটিতে বসবাস করি। সেজন্য সমালোচনা থাকতে হবে কিন্তু সমালোচনার পাশাপাশি দেশটা যে বদলে গেলো, প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের চাকা যে বদলে গেলো -সে কথাটাও তো বলতে হবে। সেটি না হলে তো মানুষের সামনে ঠিক চিত্র পরিস্ফুটন করা হয় না এবং আমার বিবেচনায় সেটি এক ধরণের বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধ। আমরা যেন সেই অপরাধ না করি।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাবো- সমালোচনার পাশাপাশি সাফল্যটাও যেনো উঠে আসে, আজকে দেশ যে বদলে গেছে সেই সত্য বিষয়টি যেন মানুষের সামনে আমরা তুলে ধরি।

‘পৃথিবীর কোনো সরকার, সে আজ থেকে একশ কিংবা পাঁচশ’ বছর আগের হোক, বা আজ থেকে শত বছর পরের হোক, কোনো সরকার দাবি করতে পারবে না যে আমি শতভাগ নির্ভুল কাজ করেছি বা করবো’

মন্ত্রী বলেন, কাজ করলে ভুল হবে। সে ভুলের অবশ্যই সমালোচনা থাকতে হবে, সে ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা থাকতে হবে। সেই ভুলটাকে অনেক বড় করে না দেখে সেটাকে তুলে ধরা এবং একইসাথে সাফল্যটাকেও তুলে ধরা দরকার।

হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত যার নিত্যসঙ্গী, মাথাপিছু  কৃষিজমি সর্বনিম্ন, আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম হওয়া সত্ত্বেও  বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।কোনো যাদুর কারণে নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই এসব অনন্য অর্জন সম্ভবপর হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //