মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতাদের মুক্তি দাবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাসসহ অন্যান্য নেতাদের বাসভবন ঘেরাও করে রাখা, বিএনপি অফিসকে ‘ক্রাইম সীন অঞ্চল’ ঘোষণা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ বিরোধী মত দমনের সরকারি পুরনো ঘৃণ্য কৌশলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

আজ রবিবার (২৯ অক্টোবর) সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গণদাবি উপেক্ষা করে সরকার একগুয়েমি করে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষ ও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। যার পরিণতিতে গতকাল ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, সমাবেশ পণ্ড করে দেয়া, সাংবাদিক, পুলিশসহ ৩ জনের প্রাণহানি, গাড়ী ভাংচুর-অগ্নিশংযোগ, সাংবাদিকদের উপর হামলা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বিবৃতিতে কমরেড ফিরোজ নিরপেক্ষ দতন্তের মাধ্যমে গতকালের ঘটনার জন্য প্রকৃত দায়ীদের শাস্তি দাবি করে বলেন, তদন্তের আগেই সরকারি দল, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের একতরফা বক্তব্য-বিবৃতি প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তি প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রথমে কাকরাইলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সমাবেশে পুলিশি হামলা, টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রানেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সমাবেশ পণ্ড করা হয়েছে সে ঘটনায় ইতিমধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গাড়ির চালকের বক্তব্যও স্যোসাল মিডিয়াসহ কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে ঘটনার সত্যতা নির্ণয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেশবাসীর কাছে তা প্রকাশ করা এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে কমরেড ফিরোজ বলেন, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে দুর্ভোগের সীমা নেই। অপরদিকে সহিংসতা-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা মূল্যবৃদ্ধি ও জনজীবনে সংকটকে আরও ঘনিভূত করছে। সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা জনমনে গভীর শঙ্কা ও ভীতির সৃষ্টি করে চলেছে। গতকালের জেরে বিরোধীদের ডাকা হরতালে আজও সারাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে যা দ্রুত নিরসন হবে বলে মনে হয় না।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ করতে হলে সরকারের একগুয়েমি পরিহার করে গণদাবি মেনে অবিলম্বে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তিনি অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //