মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী আদর্শের কোনো মৃত্যু নেই: বাংলাদেশ ন্যাপ

আগামীকাল ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের মুক্তি আন্দোলনের মহান নেতা মওলানা ভাসানী বেঁচে থাকবেন অনাদিকালজুড়ে। এই দেশ ও এই জাতি যত দিন টিকে থাকবে, মওলানা ভাসানীকে কেউ অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করতে পারবে না। তার সংগ্রামী আদর্শের কোনো মৃত্যু নাই। ইতিহাসই তার সঠিক মূল্যায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।  

নেতৃদ্বয় বলেন, শুধু ক্ষমতা রাজনীতির লক্ষ্য নয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডে তাই প্রমাণ করেছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। তিনি আজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন। এক কথায় মওলানা ভাসানী ছিলেন দুঃসাহসী ও চিরবিদ্রোহী রাজনীতিবিদ।

ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আরও বলেন, মওলানা ভাসানীর মত আজীবন সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদকে আমরা যথাযথ সম্মান দিতে পারি নাই। জাতি হিসাবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার। ভাসানী একজন আদর্শিক রাজনীতির বাতিঘড়। তার সংগ্রামী জীবন, বিদ্রোহী চেতনা ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিকে অধিকার আদায়ের অনুপ্রেরণা যোগায়।

তারা  বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সকল সময়ই মওলানা ভাসানীকে একান্তভাবেই তাদের নিজস্ব সম্পদ হিসাবে কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করতেন। নানা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মওলানা ভাসানীকে অনেকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে তার জীবনসায়াহ্নে এমনকি তার মৃত্যুর পরও। যার ফলশ্রুতিতে এ মহান নেতার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি কখনো। তাকে যেমন সম্মান দেয়ই তারই হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগও ঠিক তেমনই দেয় নাই তাকে ব্যাবহার করা বিএনপিও। মওলানা ভাসানী মত একজন জাতীয় নেতার জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না জাতীয়ভাবে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।  

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলো। মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। আমাদের চেতনার দুইটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।

ন্যাপ নেতারা বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

অন্যদিকে সকালে বাংলাদেশ ন্যাপ'র কেন্দ্রীয় নেতা আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //